Connect with us

অপরাধ

অন্ধকার জগতে যেমন ছিলেন পরীমণি

Published

on

বিপুল পরিমাণ মাদকসহ নিজ বাসা থেকে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে আটক করেছে র‍্যাব। তাকে আটকের পর থেকেই প্রকাশ্যে আসছে তার অন্ধকার জগতের নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য। নায়িকা হিসাবে রাতারাতি তারকা বনে যান পরী। অঢেল টাকা আর অভিজাত জীবন যেন স্বেচ্ছায় ধরা দেয় তার হাতে। দামি গাড়ি, কোটি টাকার ফ্ল্যাট, মূল্যবান অলঙ্কার কি নেই তার? অথচ তার সমসাময়িক নায়িকাদের অনেকে বাসা ভাড়া দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন।

জানা যায়, সিনেমার শুটিংয়ের আড়ালে প্রভাবশালীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে বেশি পছন্দ করতেন পরীমণি। রাজধানীর বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেলে প্রায় প্রতিদিনই গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি শেষে মদ্যপ অবস্থায় বের হতেন তিনি। এই নায়িকা নিয়মিত ধূমপান করেন। তার বাসায় বিদেশি সিগারেট ও মদের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে।

পরীমণির বাসায় ঢুকলে প্রথম দর্শনেই অনেকের চোখ কপালে উঠবে। ড্রইংরুমে ঢুকতেই হাতের বাম পাশে স্বচ্ছ কাঁচেঘেরা একটি রুমে সাজানো সারি সারি বিদেশি ব্র্যান্ডের মদের বোতল। স্থানে স্থানে মদ খাওয়ার প্রয়োজনীয় উপকরণ রাখা আছে। বিভিন্ন সাইজ আর ডিজাইনের গ্লাস দেখলে যে কেউ বিমোহিত হয়ে যাবেন। সেগুলো দেখে মনে হবে পশ্চিমা দেশগুলোর কোনো বিলাসবহুল বারে ঢুকে পড়েছেন আপনি।

অভিযোগ আছে, পরীমণি কথায় কথায় পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করেন। পুলিশও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে। গায়ে দামি পারফিউম মেখে বিলাসবহুল গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো পরীর মুখে মদের গন্ধ থাকলেও কেউ তাকে আটকায় না।

জানা গেছে, দেশের সব অভিজাত ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে পরীমণির বেশ ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাদের রেফারেন্সে তিনি বিভিন্ন ক্লাবে যাতায়াত করেন। তারকা হোটেলের বারেও তার যাতায়াতের রেকর্ড রয়েছে। এছাড়াও তার ঘনিষ্ঠদের তালিকায় আছেন অনেক প্রভাবশালীর নাম। যাদের কেউ কেউ পরীকে সঙ্গে নিয়ে বিদেশেও ঘুরতে যান।

Advertisement

এখানেই পরীর উশৃঙ্খলতার শেষ নয়। কয়েকটি ব্যাংকে মোটা অঙ্কের টাকা রয়েছে তার। যার বেশিরভাগই শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে পেয়েছেন। জানা গেছে, এক পর্যায়ে তিনি পর্নোগ্রাফির নিষিদ্ধ জগতে প্রবেশ করেন। ঘনিষ্ঠ মডেলদের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন একটি চক্র। যাদের কাজ হলো- উঠতি মডেল ও চিত্রনায়িকাদের পর্নোছবি তুলে সমাজের কথিত হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের পাঠানো। তারপর বিভিন্ন ছল-বাহানায় তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করা।

সবসময় নিজের মনের মর্জি মতেই চলেছেন এই নায়িকা। মাত্র তিন টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন পরিচালক কামরুজ্জামান রনিকে। আবেগের বসে সেই বিয়ের স্থায়িত্ব হয় মাত্র ৫ মাস। এর আগে এক সাংবাদিকদের সঙ্গে বাগদান সারেন পরী। একটা সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে ওই সাংবাদিকদের সঙ্গে তার বিয়ের খবরের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তখন অবশ্য ওই বিয়ের ব্যাপারে মুখ খোলেননি তিনি।

তবে মিডিয়াতে নাম লেখানোর আগেও পরী গ্রামে থাকাকালীন সময়েও বিয়ে করেছিলেন বলে জানা যায়। সেই স্বামী ছিলেন একজন ফুটবলার। তার নাম ফেরদৌস কবীর সৌরভ। বাড়ি যশোরের কেশবপুরে। তিন বছর প্রেম করার পর ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল বিয়ে করেছিলেন তারা। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরী ও সৌরভের কয়েকটি ঘনিষ্ঠ ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল ফেসবুকে। তখন বিয়ের কাবিননামার একটি কপিও ভাইরাল হয়।

এই নায়িকা শিডিউল ফাঁসাতেও সিদ্ধহস্ত। আমার প্রেম আমার প্রিয়া, আরও ভালোবাসবো তোমায় ছবিসহ একাধিক ছবির শিডিউল ফাঁসিয়েছেন বলেও জানা যায়। অনেকেই বলেছেন পরীর শুটিং করতে ইচ্ছে না করলেই শরীর খারাপের বাহানায় শিডিউল ফাঁসাতেন। বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে তার সখ্যতার কারণে পরিচালক-প্রযোজকরাও নায়িকার নানা অন্যায় আবদার সহ্য করতেন।

প্রসঙ্গত, রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার কথিত চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের হাত ধরে বড় পর্দায় পথচলা শুরু করেন পরী। সিনেমায় নাম লেখানোর আগে দীর্ঘদিন তার কাছেই থাকতেন নায়িকা।

Advertisement

শেখ সোহান

Advertisement

অপরাধ

রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা

Published

on

রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬

Published

on

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।

একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান

Published

on

গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।

কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।

জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।  আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন।  উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।

প্রসঙ্গত,  কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it