আইন-বিচার
রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক, প্রশ্নটিই অবান্তর-অমূলক : অ্যাটর্নি জেনারেল
রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক বলে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদের ধারণা অবান্তর ও অমূলক। রাষ্ট্রপতি লাভজনক কোনো পদ নয়। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদেও বলা নেই যে রাষ্ট্রপতি লাভজনক পদ। আর সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদে যে পদগুলো লাভজনক পদ হবে না বলা হয়েছে, সেখানে রাষ্ট্রপতির পদের বিষয়টি রয়েছে। বললেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর অ্যাটর্নি জেনারেল তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রাষ্ট্রপতি কোনোভাবেই সরকারের কর্মে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি নন। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। প্রশ্নটাই ‘অবান্তর’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রের প্রধান এ আইন কর্মকর্তা বলেন, যারা প্রশ্ন তুলেছেন তারা দুদক আইনের যে কথা বলছেন সেখানে (আইনে) কিন্তু স্পষ্ট করে লেখা আছে তিনি প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে পরবর্তীতে অধিষ্ঠিত হওয়ার যোগ্য হবেন না। এখানে কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কে কোনও বিধিনিষেধ নেই।
আর সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্যতার যে তিনটি ক্রাইটেরিয়া আছে তা হলো-পঁয়ত্রিশ বছরের কম বয়স্ক হলে, সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য না হলে এবং কখনো এ সংবিধানের অধীন অভিশংসন দ্বারা রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারিত হয়ে থাকলে।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত রায়ে স্পষ্ট করে বলা আছে প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদ কোনটা। সে রায়ের আলোকে বলতে পারি একদম সম্পূর্ণভাবে তিনি বৈধ এবং এটাতে কোনো প্রশ্ন করা উচিত না। এ প্রশ্নটাই অবান্তর। রাষ্ট্রপতি কোনোভাবেই সরকারের কর্মে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি নন।
এএম
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন