অপরাধ
কুমিল্লার বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তন-পাঠাগার ভবন রক্ষার দাবি
ঢাকা: কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তন ও পাঠাগার ভবন রক্ষার দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন ৫০ নাগরিক।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা উন্নয়নের নামে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তন ও পাঠাগার ভবন ভাঙার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও দুঃখের সঙ্গে জেনেছি যে, সম্প্রতি ১৩৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা টাউন হলের বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তন ও পাঠাগারের আদি ভবন ভেঙে নতুন স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৮৮৫ সালে ত্রিপুরার মহারাজা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এ মিলনায়তন মহাত্মা গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম, মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবাহী স্থান।
মিলনায়তন সংলগ্ন পাঠাগারটি দেশের প্রাচীনতম পুস্তক সংগ্রহালয়ের অন্যতম। শতবর্ষী এ ভবনে মঞ্চস্থ হয়েছে বাংলার সেরা সব নাটক। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এ ভবন ভাঙার পরিকল্পনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক এবং ইতিহাস-ঐতিহ্যের মূলে কুঠারাঘাত। ঐতিহ্য বিনাশী এ ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ যোগ্য নয়। ইতিহাসের কিছু কিছু নিদর্শন রেখে দিতে হয় পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। নইলে ইতিহাস-বিস্মৃতির প্রবণতা মাথাচাড়া দেয়।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আমরা সরকারের কাছে অবিলম্বে কুমিল্লার বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তন ও পাঠাগারের আদি ভবন বিনাশের পরিকল্পনা বাতিলের দাবি জানাই। পাশাপাশি কুমিল্লা টাউন হল প্রাঙ্গণে অবস্থিত উপমহাদেশের চিন্তাচর্চার অন্যতম সূতিকাগার ‘থিওসফিক্যাল সোসাইটির ভবনটিও সুরক্ষা করে পুরো প্রাঙ্গণকে ‘ঐতিহ্য এলাকা’ ঘোষণা ও সংরক্ষণের দাবি জানাই।
বিবৃতি এ দাবি জানান ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক, অধ্যাপক সনজীদা খাতুন, ইমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক যতীন সরকার, শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, কবি আসাদ চৌধুরী, কবি রুবী রহমান, কবি নির্মলেন্দু গুণ, শিল্পী হাশেম খান, কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, ড. সোনিয়া নিশাত আমিন, অধ্যাপক শফি আহমেদ, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ড. ভূঁইয়া ইকবাল, নাট্যজন আতাউর রহমান, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, লেখক আবুল মোমেন, নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার, নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ, অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী, গবেষক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, লেখক আবুল হাসনাত, ড. মালেকা বেগম, কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কবি মুহাম্মদ সামাদ, সাবেক ডাকসু ভিপি মাহফুজা খানম, অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী, সংস্কৃতিজন গোলাম কুদ্দুছ, সাংবাদিক নাসিমুন আরা হক, সংস্কৃতিজন হাসান আরিফ, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, সংস্কৃতিজন শীলা মোমেন, স্থপতি জালাল আহমেদ, স্থপতি ইকবাল হাবিব, স্থপতি আবু সাঈদ, স্থপতি এহসান খান, স্থপতি মোবাশের হোসেন, কবি দিলারা হাফিজ, কবি তারিক সুজাত, কবি শাহেদ কায়েস, কবি সাকিরা পারভীন, কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান, কবি পিয়াস মজিদ ও কথাসাহিত্যিক মোজাফ্ফর হোসেন।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ