ফুটবল
নতুন কোচের নাম ঘোষণা করল ব্রাজিল
কাতার বিশ্বকাপে ব্যর্থতায় পদত্যাগ করেন ব্রাজিল কোচ তিতে। তার সরে দাঁড়ানোর পর প্রধান কোচের পদ শূন্য অবস্থায় রয়েছে। তাই নতুন কোচ নিয়োগের অনেক চেষ্টাও করেছিল ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)।
ক্লাব ফুটবলের মাঝ মৌসুমে হাই প্রোফাইল কাউকে পাচ্ছে না ব্রাজিল। তাই এখনই স্থায়ী কোচ নিয়োগের পথে হাটতে চাইছে না সিবিএফ। আগামী জুন মাসে ব্রাজিল জাতীয় দলের স্থায়ী কোচের নাম ঘোষণা করবে তারা।
তবে তার পূর্বে আগামী মার্চে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। সেই দুটি ম্যাচের জন্য নতুন কোচের নাম ঘোষণা করেছে ব্রাজিল। সেই কোচ হচ্ছেন ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ দলকে সাউথ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতানো কোচ র্যামন মেনেজেস।
ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে খণ্ডকালীন কোচ হিসেবে র্যামন মেনেজেসকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সদ্যই কলম্বিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত যুব কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন স্বদেশি এই কোচ।
ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি বলেন, র্যামন মেনেজেস বিশেষ অভিবাদন প্রাপ্য। সে অনেক সম্ভাবনাময় একজন কোচ। আমরা জাতীয় দলে নতুন এবং সাহসী ধারণার অনেক লোক চাই। সে আমাদের অনূর্ধ্ব-২০ দলকে আমাদের সমস্ত বৈশিষ্ঠ নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে খেলতে সাহায্য করেছে।
ফুটবল ক্যারিয়ারে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেছেন ৫০ বছর বয়সী মেনেজেস। ব্রাজিলের কন্টাগেমে জন্ম নেয়া মেনেজেস জাতীয় দলের জার্সিতে ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে একটি গোলের দেখাও পেয়েছেন তিনি।
মেনেজেসের ক্যারিয়ার খেলোয়াড় হিসেবে এত সমৃদ্ধ না হলেও কোচ হিসেবে বেশ অভিজ্ঞ এই ব্রাজিলিয়ান। ব্রাজিলের বিখ্যাত ক্লাব ভাস্কো দা গামার কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন মেনেজেস।
২০১৫ সালে আসেভের কোচ হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন তিনি। আট বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে নামিদামি কোনো ক্লাবের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও অনূর্ধ্ব-২০ কোপা আমেরিকায় নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন তিনি।
তাই যুবাদের পর এবার নেইমার-রিচার্লিসনদের কোচ হিসেবে মেনেজেস কতটুকু সাফল্য এনে দিতে পারেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন