অপরাধ
পরকীয়ার জেরে এক রশিতে ঝুললেন মা মেয়ে
বিয়ের পর থেকে পরকীয়া নিয়ে প্রভাষক স্বামীর সঙ্গে পিয়া মণ্ডলের ঝগড়া লেগেই থাকত। এরই জেরে মাসখানেক আগে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান তিনি। ভালো হওয়ার আশ্বাস দিয়ে পিয়াকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন স্বামী কণার মণ্ডল। তার পরও স্বামীকে ফেরাতে না পেরে অভিমানে এক রশিতে মেয়েকে হত্যার পর পিয়া মণ্ডল আত্মহত্যা করেন।
শনিবার ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় যশোরের মনিরামপুরের কুলটিয়া গ্রামে নিহত মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধারের পর স্বজনদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান মনিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।
এদিকে এ ঘটনায় স্বামী কণার মণ্ডলকে আটক করেছে পুলিশ।
থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, স্বামী কণার পরকীয়া সম্পর্কের কারণে প্রায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। এ নিয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়া ও সার্বিক তদন্তের পর আত্মহত্যার পুরো রহস্য উন্মোচন হবে বলে তিনি জানান।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েকে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে মারার পর পিয়া আরেক রশিতে আত্মহত্যা করেছেন।
স্বজনরা জানান, চার বছর আগে পাশের উপজেলা অভয়নগর থানার দত্তগাতী গ্রামের ভগিরথ মণ্ডলের মেয়ে পিয়াকে বিয়ে করেন কণার মণ্ডল। বিয়ের পর তারা কুলটিয়া বাজারের পাশে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তবে কণার মণ্ডলের পরকীয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো।
স্বজনদের ধারণা, স্বামীর ওপর অভিমান করে অন্তঃসত্ত্বা পিয়া মণ্ডল মেয়ে কথাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছেন।
পিয়া মণ্ডলের মা শিপ্রা মণ্ডল বলেন, জামাই কণাকে বহুবার ভালো হতে বলেছে, কথা শোনেনি। মেয়েটাও তাকে বিপথ থেকে ফিরে আসতে বললেই মারধর করত।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় জানান, কণার মণ্ডল মশিয়াহাটি কলেজের প্রভাষক। তারা কুলটিয়া গ্রামের ফাল্গুন মণ্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শনিবার ভাড়া বাড়ির রান্নাঘর থেকে দুই দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা।
এম/এম
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ