ক্রিকেট
সাকিবের ওপর আক্রমণের কোনও পরিকল্পনা ছিল না
টানা তিন ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তাই চতুর্থ ম্যাচটি ছিল সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু দাঁত কামড়ানো সে ম্যাচে এক ওভার আগেই জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে এ ম্যাচেও বাংলাদেশের লড়াকু মনোভাব সকলের কাছে প্রসংশিত হয়েছে।
কিন্তু আলোচনার উঠে এসেছে ম্যাচের চতুর্থ ওভারে সাকিবের ৫ ছয় খাওয়ার বিষয়টি। সকলেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে এটিকেই চিহ্নিত করেছেন। সকলের ভাষ্য সাকিবের ওই ওভারে এত রান না হলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকমও হতে পারত।
চতুর্থ ওভারে সাকিবকে ৫ ছয় মারা ব্যাটসম্যান ক্রিস্টিয়ান অবশ্য বলছেন সাকিবের ওপর আক্রমণের আলাদা কোনও পরিকল্পনা তার ছিল না। যদিও সাকিবের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা তার রয়েছে। ওভাবে আক্রমণের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন পরের ব্যাটসম্যানদের কাজ সহজ করতেই অমন ব্যাটিং করেছেন তিনি।
ওভারে ৫ ছয়ের কথা বলতে গিয়ে ক্রিস্টিয়ান অবশ্য মনে করেন তিনি ভাগ্যকে সাথে পেয়েছেন। তিনি বলেন, সাকিবের বিপক্ষে বিগব্যাশে খেলেছি। আইপিএলেও কয়েকবার খেলেছি। ওই ওভারে আসলে আমি আমার ভূমিকা পালন করেছি। পরে আসা ব্যাটসম্যানের জন্য যাতে কাজ সহজ হয়ে যায়। আমার মনে হয় ভাগ্য ভালো যে কয়েকটা বল ব্যাটের মাঝে লেগে গেছে, পাওয়ারপ্লে-তে ব্যাটিং করার সৌন্দর্য এটাই। বৃত্তের বাইরে যখন দুজন ফিল্ডার থাকে।
সেই সঙ্গে ক্যারিয়ারের এমন কন্ডিশনের মুখোমুখি কখনো পড়েননি বলেও স্বীকার করেন তিনি। ক্রিস্টিয়ান বলেন, আমার ক্যারিয়ারে এমন কন্ডিশন আর কোনোটির সঙ্গেই তুলনা চলে না। যত কঠিন কন্ডিশন দেখেছি, টি-টোয়েন্টির জন্য বাংলাদেশ ওপরের দিকেই থাকবে। ১২০ রান এখানে ১৯০-এর মতো। স্পিনাররা বোলিংয়ে এলে, পেসাররা স্লোয়ার করা শুরু করলেই খেলা কঠিন হয়ে যায়। বল থেমে আসে, টার্ন করে। তার ওপর বিশাল মাঠ। একেবারেই ভিন্ন রকম ক্রিকেট।
তবে ক্রিস্টিয়ান সবশেষে বলেছেন এ কন্ডিশনে খেলাটা অনেক রোমাঞ্চকর হলেও টি-টোয়েন্টির যে আবির্ভাব তার সঙ্গে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ না।
এএ
ক্রিকেট
ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তন প্রসঙ্গে যা বললেন বিজয়
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফর আছে একই সময়ে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন এনামুল হক বিজয়।
বিজয় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি কিছুটা অস্থির। সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে, কিছু জায়গায় পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
বিসিবির বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তনের দাবিও তোলা হয়েছে। এমনকি ক্রিকেটারদের মধ্যে ইমরুল কায়েস ও রুবেল হোসেনও এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। দলে সুযোগ পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে এনামুল হক বলেন, ‘এটা তো হতেই থাকবে। এটা আপনিও কখনো বলতে পারবেন না যে আপনার সঙ্গে হয়নি। এটা হতেই থাকে। তারপরও এটা সামনে যত কম হয় সেই আশা আমরা করবো।’
বোর্ডের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের কথা অনেকেই উচ্চারণ করেছেন শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পরপর। এই পরিবর্তন প্রসঙ্গে এনামুল হক বলেন,
‘আমার কাছে মনে হয় এটার (ক্রিকেট বোর্ড) বড় আলোচনা জরুরী। দুজন একজনের কথায় আসলে এটা হবে না। ব্যক্তিগতভাবে বললে, আমি চাই বড় গ্রুপ যারা আমরা সবাই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করি তারা একত্রে বসে আলোচনা করে এটা করা। যারা ক্রিকেট খেলেছি, কেউ খেলেছে বা সামনে কেউ খেলবে। বড় ধরনের আলোচনা দরকার। যার যেটা প্রয়োজন সেটা তারা বলবে। যেখানে যে আছে।’
এম এইচ//
ক্রিকেট
পাকিস্তানের টেস্ট দলে এইচপি কোচ হলেন টিম নিলসন
টিম নিলসনকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে এই নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান বোর্ড।
পাকিস্তানের লাল বলের ক্রিকেটে দায়িত্বে আছেন জেসন গিলেস্পি। যার কোচিং স্টাফে যুক্ত হতে যাচ্ছেন টিম নিলসন। ইতোমধ্যে এই দুই কোচ পাকিস্তান শাহীন’স এ দলের ট্রেনিং ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে আগস্টের ১১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্প। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই দল প্রথম ম্যাচটি খেলবে আগস্টের ২১ থেকে ২৫ তারিখ। আর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি দুই দল খেলবে আগস্টের ৩০ থেকে সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে গিলেস্পির সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে নিলসনের। সবমিলিয়ে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারী।
সম্প্রতি পিসিবি বাংলাদেশ সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যেও দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান শাহীন’স।
এম এইচ//
ক্রিকেট
দুই মাসের ছুটি চান অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে ২ মাসের ছুটি চেয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ, পাশাপাশি ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন সাইফউদ্দিন। এই মাসের শুরুতে একজন নির্বাচক ইমেইল করেন এই অলরাউন্ডার। এরপর জানিয়ে দেন, তিনি ক্রিকেট থেকে আপাতত বিরতি নিতে চান এবং তা দুই মাসের জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জুনে অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে যুক্ত হতে না পারা এবং গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে কানাডায় যেতে না পারা- সাইফউদ্দিনের জন্য বেশ হতাশার ছিল। এসব কারণেই তিনি আগামী ২ মাস সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান। এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
গত মে মাসে, বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিলেন সাইফউদ্দিন।
এম এইচ//