আইন-বিচার
এক কাপড়ে ১২২ ঘণ্টা পরীমনি, যা বলছে সিআইডি
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনি পাঁচদিনেরও বেশি সময় ধরে একই কাপড় পরিধান করে আছেন। শুধু তাই নয়; করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেও তাকে ব্যবহার করতে হচ্ছে একই মাস্ক।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) আদালতে এমন অভিযোগ তোলেন পরীমনির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। এ বিষয়ে সিআইডির প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, আইনজীবীরা অনেক কিছুই বলতে পারেন। তবে তাদের অভিযোগ সত্য নয়।
এ সময় তিনি আরও বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ অন্যদের ৬টি গাড়ি জব্দ করেছে সিআইডি। একইসাথে তাদের সম্পদের বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সিআইডির প্রধান।
আসামিদের সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে শুধুমাত্র তাদেরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। নিরীহ কাউকে হয়রানি করা হবে না বলেও জানান ব্যরিস্টার মাহবুবুর রহমান।
এ সময় তিনি আরও জানান, পরীমনির বিরুদ্ধে প্রতারণার মৌখিক অভিযোগ এসেছে। লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সার্বিক বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরীমনিকে আবারও রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। যা আদালত মঞ্জুর করেছেন বলে জানান তিনি।
এ সময় সিআইডি প্রধান বলেন, আসামিদের বাসা থেকে বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে। যার ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে। সব তথ্য হাতে এলে দ্রুতই মামলার তদন্ত কাজ শেষ করা হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
মাদক মামলায় মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) পরীমনির চারদিনের রিমান্ড শেষে আবারও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত।
এদিন শুনানি শেষে এজলাস থেকে বেরিয়ে লিফটে ওঠার আগে ভিড় করে থাকা উৎসুক জনতাকে উদ্দেশ্য করে পরীমনি বলেন, ‘আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে, আর আপনারা হাসছেন!’
এ মামলায় পরীমনির সঙ্গে গ্রেপ্তার তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকেও দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
বনানী থানার এই মাদক আইনের মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে পরীমনিকে আদালতে হাজির করে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল সিআইডি। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানির সময় পরীমনি চশমার নিচে হাত দিয়ে চোখ মুছছিলেন। আশরাফুল ইসলাম দীপুও কাঁদছিলেন। আর পরীমনির এক সিনেমার প্রযোজক রাজ ছিলেন বিমর্ষ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন পরীমনির।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ