ফুটবল
সুপার কাপ মহারণে রাতে চেলসির প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল
আজ উয়েফা সুপার কাপে মুখোমুখি হচ্ছে চাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন চেলসি ও ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন ভিয়ারিয়াল। আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে সুপার কাপ জিতেছিল চেলসি। পরের তিনবারই হেরেছে। আর প্রথমবারের মতো সুপার কাপ খেলছে ভিয়ারিয়াল।
ইউরোপিয়ান কম্পিটিশনের দুই সেরার লড়াই। যেখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন চেলসি আর ইউেরাপা লিগ চ্যাম্পিয়ন ভিয়ারিয়াল প্রথমবার মুখোমুখি। লক্ষ্য সুপার কাপে শ্রেষ্ঠত্ব। পঞ্চমবারের মতো খেলছে অভিজ্ঞ চেলসি। বিপরীতে ভিয়ারিয়াল প্রথম।
থমাস টুখেল দায়িত্ব নেবার পর বদলে যাওয়া চেলসি জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এবার জার্মান মাস্টার মাইন্ডের চোখ দ্বিতীয় শিরোপায়। ম্যাচের আগে আলোচনায় ট্যামি আব্রাহাম। গুঞ্জন, চেলসি ছেড়ে রোমায় যাচ্ছেন এই ফরোয়ার্ড। ম্যাসন মাউন্ট, এনগোলো কন্তে, টিমো ভেরনারদের উপর আস্থা রাখছেন টুখেল। আর গোলবার সামলানোর দায়িত্বে এডুয়ার্ড মেন্দি।
সুপার কাপে দলের স্কোয়াড নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন টুখেল। তিনি বলেন, 'বর্তমান স্কোয়াডের উপর আমার পরিপূর্ন আস্থা আছে। এটি একটি পরীক্ষীত দল। আমি মোটেও উদ্বিগ্ন নই। আমি এই দলটার সাথে কাজ করতে পেরে খুশি।'
আক্ষেপ ঘুচানোর সুযোগ ভিয়ারিয়াল বস উনাই এমেরির সামনে। সেভিয়াকে নিয়ে ৩ বার ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন হলেও জেতা হয়নি সুপার কাপ। তবে তাকে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।
ইনজুরির কারনে দলের সেরা ফুটবলার স্যামুয়েল চুকুজেকে পাচ্ছেন না। আর অলিম্পিক খেলায় বিশ্রামে থাকতে পারেন পাও তরেস। তবে নিউ সাইনিং বউলায়ে দিয়ার সাথে সেরা তারকা জেরার্ড মোরেনো হতে পারে এমেরির ট্রাম্প কার্ড।
তবে শক্তিমত্তার পার্থক্যটা যাই হোক না কেন, সুপার কাপে যে ভিয়ারিয়াল জয়ের জন্যেই খেলবে তা জানিয়েছেন উনাই এমেরি। তিনি বলেন, 'আমরা আরও একটি শিরোপা জয়ের জন্য খেলবো। যদিও বিশ্বের সবথেকে সেরা ক্লাবের সাথে খেলছি। যা আমাদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। এতেই নতুন মৌসুমের আগে বুঝতে পারবো আমাদের বর্তমান অবস্থান কোথায়।'
ইউরোপিয়ান কম্পিটশনে শেষ ১৫ ম্যাচ অপরাজিত ভিয়ারিয়াল। আর স্প্যানিশ দলের বিপক্ষে শেষ ১২ ম্যাচে ২ হার চেলসির। সুপার কাপের লড়াইটা তাই বড় রোমাঞ্চেরই আভাস দিচ্ছে।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//