ফুটবল
পিএসজির হয়ে মাঠে নামতে মুখিয়ে ক্ষুদে জাদুকর
বার্সেলোনা ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পিএসজিতে নতুন অধ্যায়ের শুরু করেছেন লিওনেল মেসি। লা লিগা ইতিহাসের সেরা ফুটবলারকে দলে ভেড়ানোর সকল আনুষ্ঠানিকতা ইতিমধ্যে সেরে ফেলেছে প্যারিসের ক্লাবটি। আর ২ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর শেষে মেসি জানিয়েছেন, পিএসজির হয়ে মাঠে নামতে মুখিয়ে আছেন তিনি।
মেডিকেল শেষে প্যারিসের স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১০ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেসির সঙ্গে ২ বছরের চুক্তির ঘোষণা দেয় পিএসজি। বার্ষিক ৩৫ মিলিয়ন ইউরোতে হওয়া এই চুক্তির অধীনে ২ বছর শেষে আরও ১ বছর পিএসজিতে থাকার সুযোগ রয়েছে আর্জেন্টাইন তারকার সামনে। আনুষ্ঠানিকতা সেরে ক্লাবের ওয়েবসাইটে মেসি তার অনুভূতি জানান।
পিএসজির সাথে নিজের ফুটবলীয় উচ্চাকাঙ্ক্ষার মিল রয়েছে উল্লেখ করে মেসি বলেন, 'ক্যারিয়ারে নতুন একটি অধ্যায় পিএসজিতে শুরু করার ব্যাপারে আমি রোমাঞ্চিত। এই ক্লাবের সবকিছুই আমার ফুটবলের উচ্চাঙ্ক্ষার সঙ্গে মেলে। ক্লাবটির স্কোয়াড ও কোচিং স্টাফ কতটা শক্তিশালী, আমি জানি।'
বার্সায় পার করেছেন ২১ বছর। ক্লাবের জার্সিতে জিতেছেন ৩৫টি শিরোপা। তবে তা সবই এখন অতীত। নতুন ক্লাবের হয়ে নতুন শুরুর জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। ৬ বারের ব্যালনজয়ী এই ফুটবলার বলেন, 'এই ক্লাব ও এর সমর্থকদের জন্য বিশেষ কিছু করতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাক দি ফ্রাঁসে (পিএসজির স্টেডিয়াম) মাঠে নামতে আমি মুখিয়ে আছি।'
মেসি যেমন রোমাঞ্চিত, তেমনি তাঁকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত পিএসজি চেয়ারম্যান নাসের আল-খেলাইফি। ক্লাবের ওয়েবসাইটে দেয়া বিবৃতিতে তিনি জানান, 'লিওনেল মেসি পিএসজিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমি উচ্ছ্বসিত। আমরা তাকে ও তার পরিবারকে প্যারিসে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে গর্বিত।'
'শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এবং আরও ট্রফি জয়ের ইচ্ছার কথা সে বলেছে এবং আমাদের চাওয়াও ঠিক তাই। আশা করছি, এই দল আমাদের সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সমর্থকদের জন্য ইতিহাস গড়বে।'- খেলাইফি যোগ করেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠিনতা শেষে বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেল ৩টায় পিএসজির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করবে ক্লাবটি। সেখানেই বার্সেলোনার হয়ে রেকর্ড ৬৭২টি গোল করা মেসিকে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেবে পিএসজি। এরপর আগামী রোবরার ঘরের মাঠে দর্শকভর্তি স্টেডিয়ামে আর্জেন্টাইন তারকাকে উপস্থিত করানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্যারিস ভিত্তিক ক্লাবটির।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//