আওয়ামী লীগ
বিএনপি নেতাদেরকে লজ্জা ভেঙে টিকা নিতে বললেন তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতাদেরকে লজ্জা ভেঙে করোনার টিকা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিকে করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার পর তিনি একথা বলেন। এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান ও ক্লিনিকের সিভিল সার্জন ইলিয়াছ আলী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথমত বিএনপি’র যে সমস্ত নেতারা টিকা নিয়েছেন বা নেয়ার পক্ষে কথা বলছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। যে সমস্ত দায়িত্বশীল নেতারা এই টিকা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিলেন তাদের জন্য লজ্জা হচ্ছে, কারণ তাদের চালানো অপপ্রচারে এটিই প্রমাণ হয় যে তারা সব সময় দেশের মধ্যে গুজব রটনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যেই অপপ্রচার চালায়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার কারণে বিএনপি নেতাদের এখন খুব লজ্জা হচ্ছে যে টিকা সফলভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। টিকা নিতে মানুষের এত ব্যাপক উৎসাহ যে, সেটিকে সামাল দিতে সরকারকে আরও ব্যাপক প্রস্তুতি ও নানা ধরণের ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। এতে তাদের চেহেরাটা চুপসে গেছে, লজ্জা হচ্ছে। আমি তাদেরকে বলবো, লজ্জা না পেয়ে আপনারাও টিকা নিন, সরকার সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বদ্ধপরিকর। বিরোধী দলের যারা আমাদের কড়া সমালোচনা প্রতিদিন করেন, করেছেন টিকা নিয়ে তাদেরকেও আমরাও সুরক্ষা দিতে চাই।
টিকা গ্রহণের অনুভূতি জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো ডায়েবেটিক রোগী, প্রতিদিন ইনসুলিন দিতে হয় সকালে। ইনসুলিন নেয়ার সময় কিছুটা অনুভব হয় যে আমি ইনসুলিন নিচ্ছি। আজকে টিকা নেয়ার সময় সেটিও অনুভূত হয়নি। এতে মনে হচ্ছে আমাদের যারা টিকা দিচ্ছে, সেই টিকাদানকারীরা অনেক দক্ষ। আমাকে যে টিকা দিয়ে দিলো আমি বুঝতেই পারি নাই।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে বাংলাদেশ সরকার সময় মতো টিকা নিয়ে এসেছে, তা বিশ্বে বিরল এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে, ইউরোপে অনেক দেশে টিকার জন্য হাহাকার। এতো বিপুল জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা প্রদান কার্যক্রম এবং মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় এটিই প্রমাণিত হয়, সকল অপপ্রচারকে পেছনে ফেলে প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সেটি অত্যন্ত সফল।
শুভ মাহফুজ
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/