অন্যান্য
৮০ বছরেই গলে যাবে মেরু অঞ্চলের বরফ!
বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের বিশুদ্ধ পানির উৎস হিমশৈল। জীবন-জীবিকা, খাবার এমনকি বিদ্যুতের জন্যও হিমশৈলের ওপরই নির্ভরশীল। তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দ্রুতগতিতে বরফ গলছে। বিশাল বরফের অঞ্চলগুলো বিলুপ্ত হলে কী হবে?
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, পাহাড়-পর্বতের গায়ে লেগে থাকা বরফ, সমুদ্রে ভাসতে থাকা বরফ বা বিশাল বরফে মোড়ানো এলাকা, পৃথিবীর উত্তর আর দক্ষিণ মেরুতে সূর্যালোক কম পৌঁছে। তাই এই দুই মেরুতে হিমশৈল অনেক বেশি দেখা যায়। ভয়ংকর সুন্দর এই অঞ্চলগুলোর মানুষের জীবনে প্রভাবও অনেক বেশি।
জীবন-জীবিকা, শিল্পকারখানা, প্রকৃতি, জলবায়ু তথা পৃথিবীর প্রত্যেকটা মহাদেশের প্রাণ প্রকৃতি আর মানুষ দুই মেরুর সঙ্গে সম্পৃক্ত। হিমশৈলের ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল ঘনবসতি এলাকাগুলো। এ অঞ্চলের বরফ জমাট বেঁধে থাকে শীত মৌসুমে আর শুষ্ক মৌসুমে তা গলে পানি হয়ে যায়। সারা বছর নদীগুলোর পানিপ্রবাহ ঠিক থাকা নিশ্চিত করে পৃথিবীর শীতল অঞ্চলগুলোই।
এই বরফের ওপর নির্ভর করে সমুদ্রের স্রোতও। হিমশৈল গলে যে পানি হয় তা দিয়ে হাইড্রোপাওয়ার, কৃষিকাজ, গবাদিপশু লালন-পালন করে মানুষ। কখনো বরফ গলে পানি হলে কার্গো জাহাজ চলাচলেও কাজে লাগে রুটগুলো। তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের বাস্তুসংস্থান আর ঋতুচক্র একরকম ভারসাম্য হারিয়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা বলছে, হিমশৈলের ঘনত্ব আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।
ভূপৃষ্ঠে সুপেয় পানির পরিমাণ দিনদিন কমছে। হিমশৈলের পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে মানুষও। এশিয়ার সিন্ধু নদীর ওপর নির্ভরশীল কোটি কোটি মানুষ। এই নদী পাকিস্তানের দীর্ঘতম এবং গুরুত্বপূর্ণ নদ এবং ভারত উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নদনদীগুলোর একটি। নদী এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘতম নদী সিন্ধু। এই নদীর ওপর নির্ভরশীল মানুষ আর অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ দিনদিন বাড়ছে। তাই আরো পানি আর খাবারের প্রয়োজন পড়ছে।
গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র আর সিন্ধু নদী হিমবাহের পানির ওপর নির্ভরশীল। ২০৫০ সাল নাগাদ পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর ভারতে মানুষ অনেক বাড়বে। বাড়বে অর্থনীতির পরিধিও। নদীগুলোকে ঘিরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির আকার দাঁড়াবে চার লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ কোটি আর দুই লাখ ৫৭ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। অথচ জলবায়ুর পরিবর্তনে হিমবাহের স্বাভাবিক প্রকৃতি ব্যাহত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে পানির প্রবাহ। পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চল আর্কটিক আর অ্যান্টার্কটিকার তুলনায় অন্যান্য অঞ্চলের হিমশৈল খুব দ্রুত গলে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলছে, ২০০০-২০১৯ সালের মধ্যে বিশ্বে গ্লেসিয়ারগুলো প্রতি বছর গড়ে ২৬৭ গিগাটন বরফ হারিয়েছে। পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের ৮ দশমিক ৩ শতাংশ জুড়ে অ্যান্টার্কটিকা আর ১.২ শতাংশজুড়ে আর্কটিক। অন্যান্য অঞ্চলে মাত্র ০.৫ শতাংশ হিমবাহ আছে।
পৃথিবীর সব বরফ গলে গেলে প্রভাব পড়বে:
২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশের মধ্যে স্থির রাখা গেলে তাতেই সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে ১৩ সেন্টিমিটার। কিন্তু কোনোকিছু্ই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আর এভাবেই পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে ২৫ সেন্টিমিটার। গলে যাবে পৃথিবীর সব হিমবাহ।
শুনতে কম মনে হলেও এর প্রভাব হবে ভয়াবহ। গেল ২০ বছরে হিমবাহ গলে যে পরিমাণ পানি সমুদ্রে মিশেছে তাতে সমুদ্রের পানি ২১ শতাংশ বেড়ে গেছে। হিমালয় থেকে আসা পানির প্রায় অর্ধেকই তুলে নিয়েছে এশিয়ার দেশগুলো। ভবিষ্যতে হিমালয়ের সব বরফ গলে এই অঞ্চলগুলো চরম পানি শূন্য হয়ে পড়বে।
এসএন
অন্যান্য
জামায়াত নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮/১ ধারায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রমাণ করেছে এই দেশে এখন আর কোনো গণতন্ত্রের চর্চা নাই। আমরা ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮/১ ধারায় কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হলে সবার আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ এই দেশে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। ফ্যাসিস্ট সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ১৪ দলের বৈঠকে আওয়ামী লীগ কোন নিয়মে জামায়াতকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা আমাদের কাছে বিস্ময়ের। তাদের সিদ্ধান্তের আলোকে বিনাভোটের অগণতান্ত্রিক সরকার আরো একটি অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের কালো অধ্যায় রচিত করলো। জাতির সামনে প্রশ্ন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতি করার জন্য আওয়ামী লীগের থেকে অনুমতি নিতে হবে?
তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণ বিনা কারণে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছে। তারা আগামীতে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকেও একই পন্থায় নিষিদ্ধ করতে পারে। আওয়ামী লীগ তাদের গোলামদের সঙ্গে নিয়ে এক দলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। আমরা সরকারের এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারি না। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এএম/
অন্যান্য
রাজকীয় অভ্যর্থনা বলে কথা! প্রেমিকাকে হাঁটালেন টাকার কার্পেটে
নিজের প্রিয়জন বলে কথা। প্রিয় মানুষের মন জোগাতে কত কিছুই না করে থাকেন প্রেমিক পুরুষরা। আর বিত্তশালী প্রেমিক হলেতো কথাই নেই। নিজের মনের মানুষকে স্বর্গীয় সুখের ভেলায় ভাসাতে বিলাসিতা আর শখের বসে বিচিত্র কাণ্ড করে বসেন।
এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন রাশিয়ার এক ধনকুবের উদ্যোক্তা কাম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে তাকে হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে টাকার কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন ওই ধনকুবের। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমসসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বেশ পুরোনো।সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক এই রুশ ব্যবসায়ী- উদ্যোক্তার এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নেটিজেনরা রুশ ইনফ্লুয়েন্সারদের এমন ভিডিওর ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তারা এটিকে ‘জঘন্য’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি শেয়ার করেছেন বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসবাসরত রুশ উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সের্গেই কোসেনকো। তিনি ‘‘মিস্টার থ্যাংক ইউ’’ নামেও পরিচিত। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে টাকার বান্ডিল দিয়ে সাজানো কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, রুশ ওই ইনফ্লুয়েন্সারের প্রেমিকা হেলিকপ্টার থেকে নামেন। এরপর তার হাত ধরে তিনি নগদ টাকার স্তূপের তৈরি কার্পেটের ওপর দিয়ে হেঁটে যান। ভিডিওর ক্যাপশনে ভালোবাসার ইমোজি দেওয়া হয়েছে।
পুরোনো এ ভিডিওটি নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা টাকার কার্পেট ব্যবহারে বিরক্তি জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘সম্পদের কুৎসিত প্রদর্শন করেছেন ওই জুটি।’
নেটিজেনদের অনেকে বলছেন, ‘ভিডিওতে ব্যবহার করা নোটগুলো জাল ছিল। তবে আসলে এগুলো জাল কি না তা স্পষ্ট জানা যায়নি।’
নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, ‘টাকার মূল্য বুঝতে চেষ্টা করুন। তুমি ধনকুবের হতে পারো কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তুমি এভঅবে অর্থ খরচ বা অপচয় করবে। এর পরিবের্তে তুমি শতশত পরিবারের ভাগ্য বদলাতে সহায়তা করতে পারো। অথবা হাজারো ক্ষধার্তর মুখে খাবার তুলে দিতে পারো।’
শেয়ার করা ভিডিওতে ওই রুশ তরুণ ইনস্টাগ্রামে নিজেকে একজন গায়ক, উদ্যোক্তা ও ক্রিয়েটর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তার চার কোটিরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।
এমআর//
অন্যান্য
স্ত্রীকে গিলে খেলো অজগর, পেট কেটে বের করলেন স্বামী
গহীন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় ফরিদা নামে এক নারীকে জীবন্ত গিলে খেয়েছে একটি অজগর সাপ। পরে ওই অজগর সাপটিকে ধরে তার পেট কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ইন্দোনেশিয়ার কালেম্পাংয়ে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার(৬ জুন) বাজারের উদ্দেশে বের হন ফরিদা নামে এক নারী । তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় বিষয়টি প্রতিবেশিদের জানান ফরিদার স্বামী ননি। এরপরই চার সন্তানের মা ফরিদার খোঁজে পরিবারের অন্যসদস্যসহ প্রতিবেশিরা বেরিয়ে পড়েন।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শুক্রবার ফরিদার স্বামী ননি বনের মধ্যে একটি গাছের নিচে ২০ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ দেখতে পান। এটির পেট অতিরিক্ত ফোলা থাকায় ননির মনে সন্দেহ হয় সাপটি ফরিদাকে জীবন্ত গিলে খেয়ে থাকতে পারে। পরে প্রেতিবেশিরা সাপের পেট কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করে আনেন।
ননি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ ওকে আমি একা বাইরে যেতে দিয়েছি-এটাই আমার আজীবনের দুঃখ। আমি ওর সাথে থাকলে সাপটা হামলা করার সাহস পেত না।
গ্রামপ্রধান সুয়ার্দি রোসি ডেইলি মেইলকে বলেন, ওই দিন ফরিদা বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে বাড়ি না ফেরায় গ্রামের সবাই তার খোঁজ করতে থাকেন। ফরিদার স্বামী জঙ্গলে খোঁজ করার সময় একটি অজগর সাপ দেখতে পান। ওই সাপটির পেট অস্বাভাবিক ফোলা থাকায় তার মনে সন্দেহ হয়-সাপটি তার স্ত্রীকে হয়তো জীবন্ত খেয়ে ফেলেছে। তার সন্দেহের কথা জানালে সবাই মিলে ওই সাপটিকে ধরা হয় এবং চাপাতি দিয়ে সাপটির পেট কেটে ফরিদার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদার মরদেহ বাড়ি নিয়ে কবর দেওয়া হয়।
এমআর//