অন্যান্য
ক্রীড়াঙ্গনে এখনো বঙ্গবন্ধু পরিবারের শূন্যতা
আজ ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিলো। দেশ হারিয়েছিলো প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার ক্রীড়া মনস্ক পরিবারের সদস্যদের। সমাজ, রাজনীতি, সংস্কৃতির মত খেলার মাঠেও তৈরি হয়েছিলো শূণ্যতা। যা আজও অনুভব করেন তার সংস্পর্শে আসা অনুজ, সতীর্থরা।
১৫ আগস্ট, স্মৃতিতে অম্লান; এই বাংলায় যা কালো অধ্যায়। ভয়ঙ্কর কালো চোখের চোখ রাঙ্গানি ধানমন্ডির বাসভবনে।
সেদিন ভোরে কেউ শুনেনি পাখির কলতান; পুব আকাশে আবীর নয় যেন আবির্ভাব শোকাহত রক্তাক্ত সূর্যের। ঘাতকের বুলেট বৃষ্টিতে ক্ষত বিক্ষত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার। সেই সঙ্গে কোটি স্বপ্নের অপমৃত্যু। অন্য সবকিছুর মত নিরবতা নেমে এলো ক্রীড়াঙ্গনে। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, অ্যাথলেটিক্স. বঙ্গবন্ধু পরিবারের কোমল স্পর্শ কোথায় পড়েনি?
জনীতির বাইরে একজন পরিপূর্ণ ক্রীড়ামনস্ক ব্যক্তিত্ব জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। এই রাষ্ট্রনায়ক নিজেও খেলেছেন ক্লাবের হয়ে। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু নিজ উদ্যোগে গড়েছিলেন মিশন স্কুল ফুটবল ও ভলিবল দল। ১৯৭২ সালে গঠন করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড যা বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শেখ মুজিব প্রতিষ্ঠা করে গেছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যা এখন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নামে পরিচিত। এমনকি ফুটবল ফেডারেশনের পথচলাও শুরু তার সময়েই। সবর্দা মাঠের তারকাদের পাশে, খেলার টানে শত ব্যস্ততার মাঝেও মাঠে ময়দানে ছুটে যেতেন বঙ্গবন্ধু।
জার্মানির লাইপজিগ ঘুরে এসে দেশে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির কাজটাও শুরু হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে।
বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ কামাল যিনি পরিচিত ছিলেন দক্ষ সংগঠক হিসেবে। তাকে বলা হয় বাংলার আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক। গড়ে তুলেছিলেন আবাহনী ক্রীড়া চক্র। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিক্ষেত্রে ছিলো তার আগ্রহ।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বরাবর সরব বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনে। ক্রীড়াবিদরা যাকে পাশে পান সুখে-দুঃখে প্রতিনিয়ত। টাইগারদের প্রতিটা জয়ে তার চোখেও বয়ে যায় আনন্দঅশ্রু। নারী ফুটবলারদের অনুপ্রাণিত করতে শতব্যস্ততাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান।
নিয়তির নির্মমতা; হিংস্র কালো থাবায় প্রাণগুলো কেড়ে নিলেও দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের মণিকোঠায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার।
এএ
অন্যান্য
অলিম্পিক খেলতে গিয়ে কোকেন কিনলেন, আটক হকি খেলোয়াড়
অস্ট্রেলিয়া হকি দলের খেলোয়াড় টম ক্রেইগ। এখন অবস্থান করছেন প্যারিসে, অলিম্পিক খেলার উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেখানে তিনি ঘটিয়েছেন আরেক কাণ্ড। কোকেন কিনতে গিয়ে আটক হয়েছেন পুলিশের হাতে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এই ঘটনা ঘটে ফ্রান্সের প্যারিসে।
এই ঘটনার পর কোনো জেল-জরিমানা বা শাস্তি হয়নি ক্রেইগের। পুলিশ তাকে সতর্ক করে দিয়েছে। এরপর এই হকি খেলোয়াড় ক্ষমা চেয়েছেন।
টোকিও অলিম্পিকে রূপা জেতার রেকর্ড আছে ক্রেইগের। জাতীয় দলের হয়ে শত ম্যাচের বেশি খেলেছেন। বিবিসি যে খবর প্রকাশ করেছে, সেখানে বলা হয়; ক্রেইগ সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি এই কাজের জন্য ভীষণভাবে লজ্জিত।
After being released from a Paris holding cell, Aussie hockey player Tom Craig spoke to the media.
DETAILS: https://t.co/xm5vdOki4Q pic.twitter.com/MpfQn7XqKu
— Telegraph Sport (@telegraph_sport) August 7, 2024
জানা যায়, প্যারিসে একটি ভবনের নিচে কোকেন লেনদেন হওয়ার ঘটনা পুলিশের চোখে পড়ে। এরপর বিক্রেতা ও ক্রেতা দুজনকেই আটক করেন তারা। এরপর দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়া হকি দলের সদস্য ক্রেইগ সেই ক্রেতা। এরপর মাদক উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
চলমান অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ ও নারী হকি দল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয়।
এম এইচ//
অন্যান্য
অলিম্পিক থেকে বিদায় নিলেন বাংলাদেশের ইমরানুর ও সোনিয়া
প্যারিস অলিম্পিক থেকে বিদায় নিলেন বাংলাদেশের ইমরানুর রহমান ও সোনিয়া খাতুন। স্প্রিন্টে অংশ নিয়েছিলেন ইমরান, সাঁতারে অংশ নেন সোনিয়া। দুজনেই আলাদা আলাদা হিটে বিদায় নিয়েছেন।
বাংলাদেশের দ্রুততম মানব হিসেবে খ্যাত ইমরানুর। তিনি ছেলেদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টের ৬ নম্বর হিটে দৌড়েছেন। ইমরানুর প্রথম ৫০ মিটার বেশ ভালো দৌড়েছেন। তবে শেষদিকে ষষ্ঠ হয়ে বিদায় নিতে হয়েছে তাকে। তার সেরা টাইমিং ১০.১১ সেকেন্ডের চেয়ে আজ অনেকখানি খারাপ পারফরম্যান্স করেন ইমরানুর।
এর আগে ইংল্যান্ডের স্থানীয় একটি প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার ইভেন্টে ১০.১১ টাইমিং করেছিলেন ইমরান। এখন পর্যন্ত এই ক্রীড়াবিদের ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং এটাই।
এদিকে মেয়েদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল থেকে বিদায় নেন সোনিয়া। তিনি ৩ নম্বর হিটে যৌথভাবে ষষ্ঠ হয়েছেন। সোনিয়া ৩০.৫২ সেকেন্ড সময় নেন।
বাংলাদেশের একমাত্র নারী প্রতিযোগী হিসেবে অলিম্পিকে ছিলেন সাঁতারু সোনিয়া। ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে তার সেরা টাইমিং ছিল ৩০.১১ সেকেন্ড।
এম এইচ//
অন্যান্য
বাংলাদেশের ইমরান ও সোনিয়া নামতে যাচ্ছেন অলিম্পিকে
প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের পাঁচজন অ্যাথলেট। ইতোমধ্যে তিনজন বিদায় নিয়েছেন চলতি আসর থেকে। বাকি দুই অ্যাথলেট অলিম্পিকে নামতে যাচ্ছেন শনিবার (৩ আগস্ট)। বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান এবং সাঁতারু সোনিয়া খাতুনকে দেখা যাবে অলিম্পিকের মাঠে।
প্যারিস সময় সকাল পৌনে এগারোটায় ইমরান নামবেন ১০০ মিটার স্প্রিন্টে। এর কিছুক্ষণ বাদে সোনিয়া নামতে যাচ্ছেন ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে।
অলিম্পিক গেমসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের দিকে তাকিয়ে থাকে সারা বিশ্ব। বাংলাদেশের ইমরানের লক্ষ্য থাকবে প্রাথমিক হিট উত্তীর্ণ হওয়া। ইমরান শুক্রবার (২ আগস্ট) জানান, নিজের সেরা টাইমিং করতে চাই। দোয়া করবেন যেন আমি সেরাটা দিতে পারি।
ইংল্যান্ডের স্থানীয় একটি প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার ইভেন্টে ১০.১১ টাইমিং করেছিলেন ইমরান। এখন পর্যন্ত এই ক্রীড়াবিদের ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং এটাই।
এদিকে বাংলাদেশের একমাত্র নারী প্রতিযোগী হিসেবে অলিম্পিকে আছেন সাঁতারু সোনিয়া খাতুন। ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে তার সেরা টাইমিং ৩০.১১ সেকেন্ড।
প্যারিস অলিম্পিক থেকে বাংলাদেশের বাকি ক্রীড়াবিদ রবিউল ইসলাম, সাগর ইসলাম ও সামিউল ইসলাম রাফি বিদায় নিয়েছেন।
এম এইচ//