এশিয়া
পদত্যাগ করছেন আফগান প্রেসিডেন্ট, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নিয়োগ
দুই দশকের গৃহযুদ্ধের পর আবারও আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান। রোববার সকালে রাজধানী কাবুলে তালেবান যোদ্ধারা ঢুকে পড়ার পর ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে আফগান সরকার।
আফগান গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, তালেবানের শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বানের পর জার্মানিতে নিযুক্ত দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত আলী আহমদ জালালিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে পৌঁছে গেছে তালেবান যোদ্ধারা। সরকারের কাছ থেকে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে গেছে তারা।
শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে সহায়তা করতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একজন তালেবান কমান্ডার বলেছেন, কাবুলের প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান নিলেও এখন পর্যন্ত শহরে ঢুকে পড়েনি তাদের যোদ্ধারা।
আন্তর্জাকি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তালেবানের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমবিষয়ক মুখপাত্র সুহাইল শাহিন বলেছেন, তালেবান এখনো কাবুলে ঢুকে পড়েনি। তবে পরবর্তী পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর সরকারের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে।
জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলের ইচ্ছে তালেবানের নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। আফগান গণমাধ্যম জানিয়েছে, কাবুলের এআরজি প্রেসিডেন্ট প্যালেসে তালেবান এবং আফগান সরকারের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কাবুল গেটের কাছে পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় আছে তালেবান যোদ্ধারা।
তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির জাতীয় সংহতি পরিষদের প্রধান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ। আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইতোমধ্যে কাতারের দোহা থেকে আফগানিস্তানে পৌঁছেছেন তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল গনি বারাদার। দোহায় বিভিন্ন পক্ষের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় তালেবান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, গতকাল স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন বলে জানিয়েছিলেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। পদত্যাগ করে তিনি তালেবান কমান্ডারের দায়িত্ব নেওয়ার পথ তৈরি করে দিচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
তালেবানরা কাবুলের চারপাশ থেকে রাজধানীতে ঢুকতে শুরু করেছে এমন খবরের মধ্যে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো টিভিতে সম্প্রচারিত ভিডিওতে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল সাত্তারকে কথা বলতে দেখা গেছে।
ওই ভিডিও বার্তায় আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। তিনি বলেন, রাজধানী শহর কাবুলে কোনো ধরনের হামলা হবে না।
আফগান সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্বৃতি দিয়ে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিতে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে যাচ্ছে তালেবানের আলোচকরা। এতে করে চাপের মুখে ঘানি সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া যে শুরু হয়েছে তা স্পষ্ট।
আল-জাজিরা জানাচ্ছে, তালেবানের দাপটে কাবুলের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক অনেকটা কেটে গেছে। সবাই যার যার বাড়িতে অবস্থান করছে। রাস্তায় এখন তেমন কোনো যানবাহন নেই।
এসএন
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/