এশিয়া
আফগানিস্তান কী আবারো কট্টর শাসনে ফিরবে, না বদলে গেছে তালেবান?
আবারও কী তালেবানের নেতৃত্বে কট্টর শাসনে ফিরবে আফগানিস্তান। না রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় উদারতার পরিচয় দেবে সশস্ত্র মুজাহিদিনরা। কাবুল পতনের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই প্রশ্ন। যদিও কয়েকদিন ধরেই বিশ্বে গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে তালেবানরা। নারী শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কড়াকড়ির শাসন থাকবে না বলেও জনগণকে আশ্বাস দিয়েছে তারা।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়, কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলজুড়ে টহল দিচ্ছে তালেবান সদস্যরা। নানা ঘটনা পরিক্রমায় আফগানদের দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়াসহ থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে কাবুলে। বেশিরভাগ বাসিন্দাই ঘরবাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। চাপা উত্তেজনার মধ্যে পরিস্থিতি বুঝতে চাইছে তারা। অবশ্য, নাগরিকদের আতঙ্কিত না হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছে তালেবান। বিভিন্ন শহরে লুটপাট বা অস্ত্রধারীদের নিপীড়নের খবর পাওয়া গেলেও তা অস্বীকার করছে গোষ্ঠীটি। বরং নিজেদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে তারা।
এবার ক্ষমতায় গিয়ে বেশকিছু কট্টর নীতিমালা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তালেবান। এরই মধ্যে ইসলামি শাসনব্যবস্থা মেনে ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সবাই শিক্ষার অধিকার পাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সব বয়সের মেয়েদের হিজাব পরে শিক্ষা নেওয়ার সুযোগও থাকবে।
তালেবানের প্রাদেশিক শিক্ষা বিভাগের প্রধান মৌলভী জানাত গুল আজিজ ঘোষণা দিয়েছেন, ছেলেমেয়েদের শিক্ষার বিরুদ্ধে নই আমরা। ইসলামি শরিয়া আইন অবজ্ঞা না করে লেখাপড়া শিখতে পারবে তারা। যে কোনো বয়সেই শিক্ষার সুযোগ পাবে হিজাবি নারীরা। আমরা চাই প্রতিটি নাগরিক শিক্ষিত হোক। ইসলামি, আধুনিক, উচ্চশিক্ষা যেটাই হোক আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে। জাতিকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই আমাদের অঙ্গীকার।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল তালেবান। শরীয়া আইনের নামে ছিল কট্টর আইন। সে সময় সাধারণ মানুষকে নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ আছে। নারীদের একরকম গৃহবন্দী করা হয়। দোররা ও পাথর ছুড়ে মারার মতো শাস্তিও চালু হয়েছিল।
এসএন
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/