বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন না তামিম ইকবাল
আগামী ১৭ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতে গড়াবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। আর এই বিশ্বকাপ দলে খেলবেন না বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। স্বেচ্ছায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। নিজেই ফেসবুকে বিশ্বকাপ দলে না খেলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ ঘোষণা দেন তিনি।
২০২০ সালের মার্চের পর টি-টোয়েন্টি খেলছেন না তামিম। সেই সঙ্গে পিছু ছাড়ছে না ইনজুরি। এ সময়ে দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেছেন তরুণ ওপেনাররা। তাদের সুযোগ করে দিতেই মূলত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বুধবার দুপুরে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসে এমন ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট পাপন ভাই, আমাদের চিফ সিলেক্টর নান্নু ভাইকে আমি ফোন করেছিলাম। ফোন করে তাদের সঙ্গে কিছু জিনিস আমি শেয়ার করেছি। যেটা আমি সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমি তাদের বলেছি যে আমার মনে হয় না যে আমার ওয়ার্ল্ড কাপ টিমে থাকা উচিত।’
বিশ্বকাপের বাকি নেই আর দুই মাসও। এর আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের শেষ সিরিজ। সেই সিরিজে চোটের কারণে নেই তামিম। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে, কিংবা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও ছিলেন না তিনি। সবশেষ টি টোয়েন্টিটাও সেই ২০২০ এর মার্চে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেই তামিমেই ভরসা থাকবে কিনা দলের, এমন একটা প্রশ্ন ছিলই। এবার তামিম নিজেই বিশ্বকাপ থেকে সরিয়ে নিলেন নিজেকে।
বিশ্বকাপ দল থেকে সরে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তামিম বলছিলেন, ‘সবচেয়ে বড় কারণ বেশ কিছুদিন ধরে আমি এই ফরম্যাটটা খেলছি না। আর দ্বিতীয়ত ইনজুরি। কিন্তু আমার মনে হয় না ইনজুরি এতো বড় সমস্যা। আমি আশা করি যে ওয়ার্ল্ড কাপের আগে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু যে জিনিসটা আমার কাছে প্রধান মনে হয়, এই সিদ্ধান্ত নিতে যে ব্যাপারটা বড় ভূমিকা রেখেছে সেটি হলো-যেহেতু আমি সর্বশেষ ১৫-১৬টা টি-টোয়েন্টি খেলি নাই, এই সময়টাতে আমার জায়গায় যারা খেলছিল, আমার মনে হয় না এটা ফেয়ার হবে তাদের প্রতি। যদি আমি হঠাৎ করে এসে তাদের জায়গাটা আমি নিয়ে নেই।’
তামিমের বিশ্বাস বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকতেন তিনি। এ কারণেই আগে থেকেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ সপ্তাহে বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করার কথা ছিল। তার আগেই সরে গেলেন তামিম। ৩২ বছর বয়সী এই ওপেনার বলছিলেন, ‘হয়তোবা আমি বিশ্বকাপ দলে থাকতাম। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় না এটা ফেয়ার হতো। এ কারণেই বোর্ড প্রেসিডেন্ট আর নির্বাচকদের জানিয়েছি। সম্ভবত ওয়ার্ল্ড কাপে আপনারা আমাকে দেখবেন না। আমি এতটুকুই বলতে পারি, দলের জন্য সবসময় শুভকামনা।’
তবে কিছুতেই অবসর নিচ্ছেন না তামিম। সেটাও পরিষ্কার করলেন এই অভিজ্ঞ তারকা। বুধবার বলেন, ‘আরেকবার পরিষ্কার করে দেই, আমি অবসর নিচ্ছি না। কিন্তু সম্ভবত এই বিশ্বকাপটা আমার খেলা হবে না। আমার কাছে মনে হয় যে, এটাই যথাযথ সিদ্ধান্ত। তরুণ যারা এখন জাতীয় দলে ওপেন করছে, ওদের সুযোগ পাওয়া উচিত। কারণ তারা শেষ ১৫-১৬ ম্যাচ ধরে খেলছে। ওদের প্রস্তুতিও আমার চেয়ে ভালো হবে। পাশাপাশি আমি এটাও মনে করি, তারা দলকে আমার চেয়ে ভালো সার্ভিস দিতে পারবে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ২৩ অক্টোবর। তার আগে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব শুরু ১৭ অক্টোবর, ওমানে। এবার বাছাই পর্ব টপকেই বিশ্বকাপে খেলতে হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের। সেই মিশনে তামিমের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
এস
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ