ফুটবল
মাত্র ৬ মিনিট স্থায়ী হলো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণ
অদ্ভুতুড়ে কারণে পরিত্যক্ত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সুপার ক্ল্যাসিকো। আর্জেন্টিনার ৪ ফুটবলার কোয়ারেন্টিন নীতি ভঙ্গ করায় তাদের ধরতে মাঠে প্রবেশ করে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। শেষ পর্যন্ত আর খেলা মাঠে গড়ায়নি। নিয়ম অনুযায়ী পূর্ণ পয়েন্ট পেতে পারে আলবিসেলেস্তেরা।
দুই মাসের ব্যবধানে আরও একটা সুপার ক্ল্যাসিকো। এবার উপলক্ষ্য বিশ্বকাপ বাছাই। দুনিয়া জোড়া ফুটবলপ্রেমীদের দৃষ্টি ছিল সাওপাওলোর কুইমিকা অ্যারেনায়। কিন্তু মাঠের খেলা আর হলো কই?
মাত্র ৬ মিনিট স্থায়ী দুই দলের মহারণ। অভূত পূর্ব ঘটনার জন্ম দিলো ব্রাজিলের সাস্থ্য তত্ত্বাবধান এজেন্সি আনভিসার কর্মকর্তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে এজেন্সিটির বেশ কজন। উদ্দেশ্যে তিন আর্জেন্টাইন ফুটবলার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, জিওভানি লো সেলসো আর ক্রিস্তিয়ান রোমেরোকে ধরবে তারা। কারণ কোয়ারেন্টিন নীতি ভঙ্গ করেছেন এ তিনজন সহ আরেক আর্জেন্টাইন এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া।
এ নিয়ে মার্কোস আকুনা, নিকোলাস ওতামেন্দিদের সাথে জনৈক সাস্থ্য কর্মকর্তার হাতাহাতিও হয়। যার সাথে অস্ত্র ছিল বলে নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।
দেশটির কোয়ারেন্টিন নীতি অনুযায়ী ইংল্যান্ড, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা আর ভারত থেকে অব্রাজিলীয়রা ব্রাজিলে প্রবেশ করলে ১৪ দিনের কোয়েন্টিন বাধ্যতামূলক। বিশেষ ক্ষেত্র অনুমতি সাপেক্ষে ছাড় দেয়া যেতে পারে। যেহেতও এ ৪ ফুটবলার ইংলিশ লিগ খেলে এসেছেন এবং আগে থেকে অনুমতি নেয়া হয়নি তাই তাদের জন্য এমন নিষেধাজ্ঞা।
দুই দলের অধিনায়ক, কোচেরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেও সমাধানে আসতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয় আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকা এ ম্যাচ।
অথচ গেল ৩ দিন ধরে আর্জেন্টিনা দলের সাথে ব্রাজিলেই অবস্থান করছিলেন এসব ফুটবলাররা। আগে কোন ধরনের ব্যবস্থা না নিয়ে কেনো খেলার মাঝপথে এমন কাণ্ড ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের? হতাশ আল বিসেলেস্তে কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। উল্টো গ্রীন সিগন্যাল পেয়েছিলেন দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা কনমেবলের কাছ থেকে।
লিওনেল স্ক্যালোনি বলেন, 'আমরা জানিইনা ৪ ফুটবলারের উপর কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আছে। দুই দলের ফুটবলাররা খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলো। এভাবে একটা ম্যাচ পন্ড হওয়াটা মোটেই যুক্তিসংগত নয়।'
শেষ পর্যন্ত কি আছে এ ম্যাচের ভাগ্যে? কনমেবলের শৃঙ্খলা বিধির ৭৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী কপাল পুড়ছে ব্রাজিলের। যেখানে স্পষ্ট ভাবে লেখা ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে বাধা দেয়া যাবে না। কোন জটিলতা থাকলে তা ম্যাচের আগে পরে মেটাতে হবে।
এমনটা হলে যে দলের কারনে ম্যাচ বাধাপ্রাপ্ত হবে তারা তিন পয়েন্ট হারাবে। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে কনমেবল জানিয়েছে, রেফারি আর কমিশনার এ ম্যাচের রিপোর্ট জমা দেবেন ফিফার শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটির কাছে এপর যা ব্যবস্থা নেয়ার ফিফাই নেবে।
এদিকে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের অন্য ম্যাচগুলোতে বলিভিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে উরুগুয়ে। কলম্বিয়ার সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে প্যারাগুয়ে। আর গোল শূন্য শেষ হয়েছে ইকুয়েডর-চিলি ম্যাচ।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//