জাতীয়
কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টার দিকে সেখানে পৌঁছান তিনি। উপজেলার সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গারহাট তালিমপুর-তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
জনসভাস্থল তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভিড় করেছেন নেতাকর্মীরা। চার বছর পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। জনসভা থেকে তিনি গোপালগঞ্জে ৪৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
এর মধ্যে রয়েছে ৪৪টি নবনির্মিত উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।
আজ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গারহাট তালিমপুর-তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা থেকে থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
৪৯টি প্রকল্পের মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৩১টি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ৪টি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৩টি, কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ ২টি, গোপালগঞ্জ পৌরসভা ২টি, গণপূর্ত বিভাগ ২টি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ২টি, কোটালীপাড়া পৌরসভা ১টি, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ ১টি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণায়ল ১ টি প্রকল্প বাস্তবায়ণ করেছে।
কুশলী জিসি-ধারবাশাইল জিসি ভায়া মিত্রডাঙ্গা ,সোনাখালী সড়কে ১৪৭০ মিটার চেইনেজে ৯৯.০০ মিটার গার্ডার ব্রিজ। কুশলী জিসি ধারাবাশাইল জিসি ভায়া মিত্রডাঙ্গা সোনাখালী সড়কে ১৬৬০০ মিটার চেইনেজে ২০.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। সিঙ্গিপাড়া আরএইচডি-মুন্সিরচর ভায়া শেখ কামাল সড়কে ১২৭০ মিটার চেইনেজে ২০.০০ মিটার আরসিসি স্লাব ব্রিজ। কুশলীহাট জিসিসি ধারবাশাইল জিসিসি ভায়া মিত্রডাঙ্গা সোনাখালী সড়কে ৭৭৫০ মিটার চেইনেজে ৭৫.০০ মিটার আরসিসি ব্রীজ। কুশলী ইউনিয়ন কৃষক সেবা কেন্দ্র। বাঁশবাড়িয়া জিসি ঝনঝনিয়া-ঘাঘর জিসি সড়ক (চেইনেজে০০-১২৬৩৫মিটার)। বাঁশবাড়িয়া জিসি-বিশারকান্দি জিসি ভায়া করফা বাজার,তরু বাজার,কাচারিভিটা বাজার সড়ক প্রশস্ত ও শক্তিশালী করণ (চেইনেজে ০০-৯২২৫ মিটার)।
কোটালীপাড়া উপজেলার বঙ্গলক্ষী বাজার হতে রামশীল ইউপি অফিস সড়কে ৬৮১৫ মিটার চেইনেজে ৯৯.৭০ মিটার আরসিসি ব্রিজ। উত্তরপাড়া হাটখোলা ব্রিজ হতে পারকোনা পৌরসভা বাসস্ট্যান্ড ভায়া কুঞ্জুবন সড়কে ৩৫০০ মিটার চেইনেজে ৪২.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। ছিকুটিবাড়ী মাইকেল চেয়ারম্যানের বাড়ীর সড়কে ৫৬০ মিটার চেইনেজে ১৮.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। রাধাগঞ্জ ইউপিসি-উত্তরপাড়া হাটখোলা-নাগরা বাজার সড়কে ০০ মিটার চেইনেজে ২৫.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। দেবগ্রাম আশ্রায়ণ প্রকল্পের সামনে ০০ মিটার চেইনেজে ৩০.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। রাধাগঞ্জ ইউপিসি -ডগলাস হাইস্কুল-ভাঙ্গারহাট জিসি সড়কে ১০ মিটার চেইনেজে ৩৯.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। রাজৈর কোটালীপাড়া সড়ক হতে লুৎফর রহমান বাচ্চুর বাড়ী ছোট দিঘলিয়া জিপিএস সংযোগ সড়কে ০০ মিটার চেইনেজে ৩০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। কুশলা ইউপি হতে টুপুরিয়া আরএ্যান্ডএইচ সড়কে ২৪৩০ মিটার চেইনেজে ৩৬.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। টুপুরিয়া আরএ্যান্ড এইচ হতে কুশলা ইউপিসি ভায়া জামুলা সড়কে ০৮ মিটার চেইনেজে ৩০.০০ মিটার গার্ডার ব্রিজ। হরিণাহাটি ডিবি-হরিণাহাটি জিপিএস সড়কে ১০ মিটার চেইনেজে ৫১.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। সাদুল্যাপুর ইউপিসি হতে চলবল বাজার সড়ক ( চোইনেজে ৮০০-৬৩৪০ মিটার)। নাগরা আরএইচডি-বান্ধাবাড়ী-রামশীল-শশীকর জিসি সড়ক চেইনেজে ৫২০০-১৪৪০৫ মিটার প্রশস্ত ও শক্তিশালী করণ। নাগরা বাজার-রামশীল ইউপি সড়ক চেইনেজে ৩২০০-৫৯৯০ মিটার প্রশস্ত ও শক্তিশালী করণ। কদমবাড়ী-কালিগঞ্জ-গান্ধিয়াশুর জিসি সড়ক নির্মাণ চেইনেজে ০০-৬২৫৬ মিটার। কোটালীপাড়া সদর ভূমি অফিসের সামনে আর এ্যান্ড এইচ বিশারত বাড়ী পর্যন্ত সড়কে ০০ মিটার চেইনেজে ১৮.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। কাগডাঙ্গা চেয়ারম্যান বাড়ী হতে কাটাভিটা ভায়া এমএ সাইদ স্কুল এ্যান্ড কলেজ সড়ক ( চেইনেজে ০০-১৩২০ মিটার) ইউনিব্লক দ্বারা উন্নয়ন। চাটখালি ব্রিজ-মহিষডাঙ্গা ভায়া ফুলবাড়ি জিপিএস সড়ক নির্মাণ (চেইনেজে ০০-৮১৬০ মিটার)। চিতশী জিপিএস কান্দিপাড়া ওয়াপদা বেড়িবাঁধ সড়ক নির্মাণ ( চোইনেজে ২৫০০-১১১০০ মিটার)। আশুতিয়া শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন দাড়িয়া মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর। শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক সেবাকেন্দ্র। কেটালীপাড়া উপজেলা হেডকোয়ার্টার হতে ধারবাসাইল কান্দি সড়ক নির্মাণ ( ০০-১১৩৪৪ মিটার) ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পগুলো হচ্ছে, কোটালীপাড়া উপজেলার আটাশীবাড়ী, তালপুকুরিয়া ও ধারাবাশাইল এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী ও রামচন্দ্রপুর গ্রামে আধুনিক যান্ত্রীক কৃষির সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতি প্রকল্প।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নব নির্মিত ৪ তলা বিশিষ্ট আধুনিক একাডেমিক ভবন। শেখ হাসিনা আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের ১০০ আসনের নব নির্মিত ছাত্রী হোস্টেল ও কোটালীপাড়া এসএস ইনস্টিটিউশনের নব নির্মিত ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমরিয়া ইউনিয়নে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্রামীন পানি সরবরাহ প্রকল্প ও কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নে ১টি রুরাল পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই স্কীম।
কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়িত ভাঙ্গারহাট তালিমপুর-তেলিহাটি উচ্চবিদ্যালয়ে স্থাপতি শেখ রাসেল পাঠাগার প্রকল্প । গোপালগঞ্জ পৌরসভার কর্তৃক বড়বাজারে নির্মিত অত্যাধুনিক বানিজ্যিক ভবন ও স্যানিটারি ল্যান্ডফিল্ড । গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ বাস্তবায়িত কোটালীপাড়ায় কবি সুকান্ত ভট্টাচর্যের পৈত্রিক ভিটায় নির্মিত একটি মুক্ত মঞ্চ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত কোটালীপাড়া উপজেলার লাখিরপাড় রমমোহন উচ্চবিদ্যালয়ে বণ্যা অশ্রয়ণ কেন্দ্র। কোটালীপাড়া পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত পৌরসভা কিচেন মার্কেট।
এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণপূর্তের গোপালগঞ্জ জেলা তথ্য কমপ্লেক্সে, কোটালীপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সংস্কৃতিক কেন্দ্র, এলজিইডি’র কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর মুর্যাল নির্মাণ প্রকল্প, রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ভাঙ্গারহাট বাজার উন্নয়ন প্রকল্প ও কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ কর্তৃক গৃহীত ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ফলক স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্ত স্থাপন করবেন।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন