অপরাধ
মামলায় জামিন পেয়ে ধর্ষকের উল্লাস; নির্যাতিত নারীর বিষপান
বগুড়ার শাজাহানপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়ে মাহবুব হোসেন রিফাত (১৮) নামে এক বখাটে উল্লাস করেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ও লোকলজ্জায় ওই ধর্ষিত ছাত্রী বিষপান করেছে।
মঙ্গলবার সকালে শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কানুপুর গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিকালে শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন ধর্ষণের মামলার কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে ছাত্রীর বিষপান ও অভিযুক্ত বখাটের জামিনের ব্যাপারে অবগত নন বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ, মামলা সূত্র ও স্বজনরা জানান, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ডেমাজানি দক্ষিণপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে মাহবুব হোসেন রিফাত পার্শ্ববর্তী শেরপুর উপজেলার বাসিন্দা ও স্থানীয় মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে (১৯) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে রিফাত ফোনে ওই ছাত্রীকে তার এলাকায় ডেকে আনে। এরপর সে তাকে ফুফা রফিকুল মহুরির বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ছাত্রী বাড়ি ফিরে পরিবারকে অবহিত করলে পরদিন তার মা রিফাতের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। কিন্তু ঘটনাস্থল শাজাহানপুর থানায় হওয়ায় সেখানে মামলা স্থানান্তর করা হয়। রাতে শাজাহানপুর থানা পুলিশ রিফাতকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি বাদীকে জানায়নি। পরদিন রিফাতকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে জামিন নামঞ্জুর করা হয়। অভিভাবকরা দ্রুত জজ কোর্টে মিস কেস করলে আদালত জামিন দেন।
ছাত্রীর ভগিনীপতি জানান, তার শ্যালিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে ধর্ষণ মামলার আসামি রিফাত জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় উল্লাস করে। শ্যালিকা ঘটনাটি জানতে পেরে খুব কষ্ট পায়। সে লোকলজ্জা ও ক্ষোভে সোমবার সকালে বাড়িতে বিষপান করে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, রিফাতকে গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ রহস্যজনক আচরণ করেছে। ফলে সে বিনাবাধায় জামিনে ছাড়া পেয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ধর্ষণের মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। এরপর সে জামিনে ছাড়া পেয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না। এছাড়া ভিকটিম ছাত্রীর বিষপানের কথা তাকে অবগত করা হয়নি।
এমএম/
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ