ফুটবল
১৭ বছরের পথচলার ইতি টানছেন টেলর
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন জিম্বাবুইয়ান কিংবদন্তী ব্রেন্ডন টেলর। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলেই ব্যাট-প্যাড তুলে রাখবেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এর ফলে সমাপ্তি আসতে যাচ্ছে ১৭ বছরের এক অদ্ভুত গল্পের। যেখানে ছিলো নানান চড়াই-উতরাই। ছিলো নির্বাসন-ফিরে আসার নানা রোমাঞ্চকর গল্প।
২০০৪ সালে বুলাওয়েতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল। সে ম্যাচে আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। টেইলর প্রথম দফায় জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দেন ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত। এই বছরের শুরুতে অধিনায়কত্ব পান আবার। ২০১৫ বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
৬ ম্যাচে ৭২.১৬ গড়ে করেছিলেন ৪৩৩ রান। তবে সেই বিশ্বকাপের পর কলপ্যাক চুক্তিতে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলেন টেলর। কার্যত সেখানেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ হয়েছিল তাঁর এক দফা। যদিও বা ২০১৭ সালে নটিংহ্যামশায়ারের সঙ্গে চুক্তি শেষের পর আবারও ফিরে আসেন তিনি।
এখন পর্যন্ত টেলর খেলেছেন ২০৪টি ওয়ানডে, ৩৫.৭০ গড়ে করেছেন ৬৬৭৭ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে এখন পর্যন্ত এ সংস্করণে তাঁর চেয়ে বেশি রান আছে শুধু অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের (৬৭৮৬)। শেষ ম্যাচে ফ্লাওয়ারকে ছাড়িয়ে যেতে টেলরের প্রয়োজন তাই আরও ১১০ রান। ওয়ানডেতে ১১টি সেঞ্চুরির সঙ্গে হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে ৩৯টি।
টেস্ট খেলেছেন মাত্র ৩৪টি। যার মধ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষেই খেলেছেন ১২টি। ক্যারিয়ার গড় ৩৬.২৫ হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে সেটা ৬১.৯৫! ৬ সেঞ্চুরির পাঁচটিই এসেছে টাইগারদের বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৪৫টি। ১১৮.২২ স্ট্রাইক রেট ও ২৩.৯৪ গড়ে ৯৩৪ রান আছে তাঁর। সব মিলিয়ে টেলরের আন্তর্জাতিক রান ৯৯৩১, জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ। তাঁর ওপরে শুধু ফ্লাওয়ার ভাতৃদ্বয় (অ্যান্ডি- ১১৫৮০ ও গ্রান্ট ১০০২৮)।
নিজের অবসরের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টেলর লেখেন, 'ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি, আগামীকালের (আজ) ম্যাচটিই আমার প্রিয় দেশের হয়ে শেষ হতে যাচ্ছে। ১৭ বছর ধরে চরম উঠানামার ভেতর দিয়ে গেলেও আমি এটা এক মুহুর্তের জন্যও বদলাতে চাইব না। এটা আমাকে বিনয়ী হতে শিখিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে যে অবস্থানে ছিলাম সেটা যে কতোটা ভাগ্যের, সেটা মনে করিয়ে দিয়েছে সবসম্য। গর্বের সঙ্গে ব্যাজটা পরতে শিখিয়েছে, মাঠে সবকিছু উজার করে দিতে শিখিয়েছে।'
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//