রংপুর
কুড়িগ্রামে কৃষকের মাঠ সেজেছে সবুজ রঙে
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে কৃষকের মাঠ জুড়ে সবুজ রঙে সেজেছে তাদের স্বপ্নের ফসল রোপা আমনের ধান ক্ষেত। স্বপ্নের ক্ষেত এখন সেজেছে সবুজ রঙে। দেখেই মন ভরে যায়। এ জেলার অধিকাংশ কৃষক কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাদের প্রধান ফসল ধান। এ অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিরা তাদের প্রধান ফসল রোপনের সময় বৃষ্টির দেখা পাইনি। ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির দেখা না পেয়ে কৃষকদের স্বপ্নের ফসল সঠিক শ্যালো মেশিন ও সেচযন্ত্রের মাধ্যমে পানি কিনে জমিতে আমনের চাষাবাদ করেছেন। সেই স্বপ্নের ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষা করছেন প্রান্তিক চাষিরা। এ বছর ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি দেখা না পেয়ে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ কৃষক শ্যালো-মেশিন ও সেচযন্ত্রের মাধ্যমে পানি কিনে তাদের স্বপ্নের ফসল বাড়তি খরচ দিয়ে রোপন করলেও আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় আনন্দের সাগড়ে ভাসছেন এ জেলার প্রান্তিক চাষিরা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী চলতি রোপা আমন ধান এ জেলার প্রান্তিক কৃষকরা ১ লাখ ১৬ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান রোপন করেছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে স্বল্পমেয়াদী বর্নায় রোপা আমনের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২ হাজার ৭৯৭ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্থ রোপা আমনের ক্ষেত আবারও নতুন করে চারা রোপন করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি বিভাগ।
এ দিকে গত কয়েক দিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে দেখা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে কোন জমি আর পতিত নেই, বিস্তৃর্ণ কৃষকের মাঠে মাঠে দু-চোখ জুড়ানো যেন এক অপরুপ সবুজের সমারোহ। ফসলের চারিদিকে যেন সবুজ রঙে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ আর মাঠ। নয়ন জুড়ানো দৃশ্য মেতে উঠেছে ফসলের মাঠ জুড়ে। এখন মাঠ জুড়ে সবুজ রঙে সাজিয়ে তুলিছে প্রকৃতির এক অপরুপ রুপ।
ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক শুশীল চন্দ্র রায় ও কাশিপুর ইউনিয়নের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, শুরুতে বৃষ্টির দেখা পাইনি। তাই সঠিক সময়ে শ্যালো-মেশিন ও সেচযন্ত্র দিয়ে পানি কিনে রোপা আমনের চাষাবাদ করেছি। খরচ একটু বেশি হয়েছে। এবার আমাদের কপাল ভাল,যে ফুলবাড়ীতে বন্যায় তেমন কোন ক্ষতি হয়নি আমন ক্ষেতে। গত বছরের তুলনায় এবছর ফলনও ভাল দেখা যাচ্ছে। আমরা স্বপ্নের ফলন ঘরে তোলার অপেক্ষা করছি। ধানের দাম ভাল পেলে আমরা কৃষকরা লাভবান হবো।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.মন্জুরুল হক জানান, এবছর জেলায় মোট ১ লাখ ১৬ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে প্রান্তিক কৃষকরা আমন ধান রোপন করেছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিতি হয়ে আমন ধান নষ্ট হয়েছে ২ হাজার ৭৯৭ হেক্টর। কৃষি বিভাগের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা আবারও নতুন করে ক্ষতিগ্রস্থ আমন ক্ষেতে চারা রোপন করছে। তারপরেও গত বছরের চেয়ে এ বছর ক্ষতির পরিমাণ কম। সেই সাথে এবছর কৃষকের মাঠ জুড়ে তাদের স্বপ্নের ফসল আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জেলার প্রতিটি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ অব্যাহত থাকবে। এ জেলায় কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে কৃষকরা তাদের প্রধান ফসল ঘুরে তুলতে পারবে। আশা করি ধানের দামও ভাল পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
মুনিয়া
জাতীয়
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ নিহত ৫
রংপুরে অসহযোগ আন্দোলনে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে রংপুর নগরীতে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হারাধন রায় হারা রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি। নিহতের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রসিক কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান শাহাজাদা।
নিহত অন্য চারজন হলেন নগরীর গুড়াতিপাড়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খরশু মিয়া, যুবলীগ নেতা মাসুম, হারাধন রায়ের ভাগ্নে এবং অপরজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা যায়, সকাল থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ঘিরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ অবস্থান নেন নগরীর টাউনহল চত্বরে। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পরে জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে পায়রা চত্বরে পুনরায় অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে গিয়ে আটকে পড়েন পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা। পরে পায়রা চত্বর থেকে পালিয়ে কালিবাড়ি মন্দিরে প্রবেশ করার সময় আন্দোলনকারীদের হাতে ধরা পড়েন হারাধন রায় হারা। সেখানেই এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত হলেও পুনরায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন তারা। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনা জানার পর হারাধনের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে অবস্থান করা এনটিভির ক্যামেরাপারসন আরমান, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের রিপোর্টার ফখরুল শাহীন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার রেজাউল ইসলাম মানিক, একুশে টিভির ক্যামেরাম্যান আলী হায়দার রনি, ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক রাশেদ রাব্বি, অনলাইনের মিজানসহ ১০ জন গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর করেছেন আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি ডিউক চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন, গংগাচড়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুন, মিঠাপুকুর উপজেলার পরিষদ চত্বরে ইউএনও অফিস, বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়াম, আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন দফতরে ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এএম/
দেশজুড়ে
রংপুরে আ.লীগের এমপির বাসায় আগুন, লুটপাট
রংপুরের বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক) ও পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরীর (টুটুল) বাসায় আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আগুন দেওয়ার পর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রথমে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা ও ধাওয়া দিয়েছেন। পরে বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে স্থানীয় দুপুর ১২টার দিকে আগুন দেয়। বিক্ষোভকারীরা লাঠি হাতে ওই দুই বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে।
অন্যদিকে রংপুর শহরের সুপার মার্কেটের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। রোববার (৪ আগস্ট) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/
দেশজুড়ে
সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রংপুর, নিহত ২
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
রোববার (৪ আগস্ট) সকালে শহরের সুপার মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ও নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় নি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/