রাজশাহী
ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে গুলি- বোমা নিক্ষেপের প্রদিবাদে বিক্ষোভ
পাবনার বেড়া উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ এম রফিকউল্লাহর বাড়ি লক্ষ্য করে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা গুলিবর্ষণ ও হাতবোমা নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে নগরবাড়ির রঘুনাথপুরে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে চেয়ারম্যান সমর্থকরা রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কাশিনাথপুর মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় উভয়দিকের যানবাহন চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। বেলা সোয়া ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল।
চেয়ারম্যান এএম রফিকউল্লাহ জানান, রাত তিনটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত আমার বাড়ি লক্ষ্য করে ১১টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া তিনটি শর্টগানের গুলি ছোড়ে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুর সাথে আমার নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার একটি বাড়িতে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় আমি আমিনপুর থানায় জিডি করেছি। আমার ধারণা, জিডি করাতেই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই। ঘুম ভেঙে আপনাদের কাছে প্রথম জানলাম বিষয়টি। তিনি আরও বলেন, সামনে জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। আমাকে নানাভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে আমার দলের মধ্যেই প্রতিপক্ষ গ্রুপ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, নগরবাড়ি ঘাট নিয়ে প্রতিপক্ষ দুটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় সাধারণ ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই ঘাটের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শান্ত রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
মুক্তা মাহমুদ
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ