আইন-বিচার
নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত পোর্টালের তালিকা পেলে পদক্ষেপ নেবে বিটিআরসি
তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সব নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের তালিকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তালিকা দেওয়া হয়নি। তালিকা হাতে পেলেই অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) হাইকোর্টকে জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে বিটিআরসির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য দুই সপ্তাহের সময় চায় বিটিআরসি। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জারিন রহমান ও অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নিলু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রিট পিটিশনে সংযুক্ত থাকা নিবন্ধিত ৯২টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাদে সকল অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন আদালত।
আদেশে বলা হয়, রিট পিটিশনে সংযুক্ত (এনেক্সার বি) উল্লেখিত নিউজ পোর্টালসমূহ (৯২টি) যদি অনৈতিক, মানহানিকর ও গুজব সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করে, তাহলে বিবাদীরা উক্ত নিউজ পোর্টালসমূহকেও বন্ধ করতে পারবেন। ওই দিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জারিন রহমান ও অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নিলু।
ব্যারিস্টার জারিন রহমান ও অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নিলু বলেছিলেন, আমরা নিবন্ধিত ৯২টি নিউজ পোর্টালের তালিকা আদালতে দাখিল করেছি। ওই ৯২টি বাদে অনিবন্ধিত সকল নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ১৬ আগস্ট অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে এবং নিবন্ধনের জন্য বিবেচনাধীন অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এছাড়া রুলে প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৪ এর ১১(২)(খ) অনুযায়ী কার্যকর ও উপযুক্ত একটি নৈতিক আচরণবিধি প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তাকে কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়। পত্রিকা ও অন্যান্য সংবাদ সংস্থা, সাংবাদিকদের উচ্চ মানসম্পন্ন পেশাদারত্বের জন্য একটি নৈতিক আচরণবিধি করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চান আদালত। আর ন্যাশনাল ব্রডকাস্ট পলিসি-২০১৪ অনুযায়ী একটি ‘ব্রডকাস্টিং কমিশন’ গঠনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চান হাইকোর্ট।
তথ্য সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ