অন্যান্য
নতুন সম্ভাবনার পথে বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্যিক সম্পর্ক
বাংলাদেশ ও চীনের পারস্পারিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন যুগে প্রবেশের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। তবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে দরকার, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় আইনি কাঠামো এবং বিনিয়োগ প্রসারে জিটুজি ও পিপিপি ফ্রেম ওয়ার্ক।
বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করা চীনের সরকারি কোম্পানি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ২৬৭ প্রতিষ্ঠানের সংগঠন- চায়না এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-সিইএবি এর সপ্তম সম্মেলনে এসব দাবি তোলা হয়।
করোনা পরিস্থিতির কারণে অনলাইনে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তৃতা দেন সিইএবি প্রেসিডেন্ট কে ছাংলিয়াং।
এসময় এফবিসিসিআই সভাপতি মু. জসিম উদ্দিন বলেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধার ফলে, বাণিজ্য সম্প্রসারণ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। চীন সরকার ঘোষিত ৯৭ ভাগ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধাকেও আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা আশা করি, করোনা মহামারি কাটিয়ে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ আরও বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরেন, সিইএবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে এতে যোগ দিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন যুগে প্রবেশের এখনই উপযুক্ত সময়।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে জিটুজি কিংবা পিপিপি ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা গেলে, চীনা আর্থিক চ্যানেলগুলোর অর্থায়ন আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের উৎপাদন ক্ষমতাটাও বৃদ্ধি পাবে। আমরা প্রত্যাশা করি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা, বিষয়টি দেখবেন।
চীনা ব্যবসায়ীদের এই সম্মেলনে যুক্ত হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে জিটুজি ও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে বিনিয়োগের জন্য কাজ করছে সরকার।
চীনা রাষ্ট্রদূতের জিটুজি এবং পিপিপি ফ্রেমওয়ার্কের কথা উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার পথে। আমরা চাই যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব, এটা স্বাক্ষর করতে। আপনাদেরও পক্ষ থেকেও সহযোগিতা চাই।
সম্মেলনের এই পর্বের অংশগ্রহণকারীরা, দুই দেশের উন্নয়নে চীনের নেয়া বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, উৎপাদন শিল্পে কার্বনমুক্ত সবুজ উন্নয়ন প্রকল্পসহ নানা সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করেন।
এমএম/
অন্যান্য
শিক্ষকদের আন্দোলনের কোনো যুক্তি নেই: অর্থমন্ত্রী
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক। শিক্ষকদের আন্দোলনের কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। বললেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াংমিং ইয়ংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেনম প্রত্যাশার চেয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বেশি সহায়তা করছে।
এদিকে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন একাডেমিক কাজ করতে আসা শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগেই খোলা হয়নি তালা। বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম। একই অবস্থা প্রশাসনিক ভবনেও। কিছু কিছু কক্ষের দরজা খোলা হলেও বন্ধ রয়েছে কার্যক্রম। ফলে জরুরি কাজে মার্কশিট, সার্টিফিকেট ইত্যাদি তুলতে আসা শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
গেলো ২৫ থেকে ২৭ জুন তিনদিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শাবি শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়ায় গেলো ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন এবং ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। একই দাবি আদায়ে তিনদিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
টিআর/
অন্যান্য
এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ৩ টাকা কমেছে। ১২ কেজির দাম ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এই দাম মে মাসের তুলনায় জুনে ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩ টায় এক মাসের জন্য এলপিজির এই নতুন দাম ঘোষণা করা হয়।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে এতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত চলতি মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী চলতি (জুলাই) মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির দাম সমন্বয় সম্পর্কে বিইআরসির নির্দেশনা ঘোষণা করা হবে।
বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন জানান, ১২ কেজির এলপিজির দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে টানা ৮ মাস বাড়ার পর গেলো এপ্রিল মাসে কমেছিলো এলপি গ্যাসের দাম। সেই ধারাবাহিকতায় গেলো মে ও জুন মাসেও কমে এলপিজির দাম।
টিআর/
অন্যান্য
এলপিজির দাম কমছে নাকি বাড়ছে, জানা যাবে আজ
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম জুলাই মাসে বাড়ছে নাকি কমছে, তা জানা যাবে আজ। মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।
সোমবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এ দিন বিকেল ৩টায় সৌদি আরামকো ঘোষিত চলতি মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী চলতি (জুলাই) মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির দাম সমন্বয় সম্পর্কে বিইআরসির নির্দেশনা ঘোষণা করা হবে।
এর আগে কয়েক দফায় বাড়ানো হয় এলিজির দাম। পরে গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারে মূল্য ৪০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪৪২ টাকা। এরপর ২ মে আরও ৪৯ টাকা কমিয়ে কমিয়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ধরা হয় ১ হাজার ৩৯৩ টাকা। সবশেষ গত ৩ জুন ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
টিআর/