আইন-বিচার
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের প্রক্রিয়া স্থগিত
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের প্রক্রিয়া শুরুর ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই আবার তা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশে এ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। বিটিআরসির কর্মকর্তারা বলছেন, এ সংক্রান্ত তালিকা চেয়েও তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে না পেয়ে তা স্থগিত করা হয়।
এর আগে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জাগো নিউজসহ নিবন্ধিত প্রথম সারির অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। এ তালিকা থেকে বাদ যায়নি সরকারি সংবাদ সংস্থাও (বাসস)।
২০১৯ সালে একবার পর্নোসাইট বন্ধ করতে গিয়ে ব্লগসাইটসহ অনেক ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছিল বিটিআরসি। পরে সেগুলো খুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফা জব্বার বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখি বিটিআরসি কী করছে। মন্ত্রীর এ বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরই বন্ধ হওয়া নিউজ পোর্টালগুলো আবার চালু করা হয়।
পরে মন্ত্রী জানান, অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধের প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা পেলে পরে সেই অনুযায়ী অনিবন্ধিত সাইটগুলো বন্ধ করা হবে।
মোস্তাফা জব্বার জানান, বিটিআরসি তালিকা ধরে নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। ওই তালিকায় বেশকিছু ত্রুটি আছে। ফলে আপাতত অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।
বিটিআরসি এক কর্মকর্তা বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধিত নিউজ ওয়েবসাইটের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা দেয়নি। তবে এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অন্যদিকে, দেশের সব অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালনে আরও দুই সপ্তাহ সময় পেয়েছে বিটিআরসি। এ বিষয়ে শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী ২৫ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বিটিআরসির পক্ষে সময় চেয়ে করা আবেদন শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সাতদিনের মধ্যে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন।
এমএম/
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ