বাংলাদেশ
পুলিশ সদস্যদের ছুটি নিশ্চিত করতে চিঠি
পুলিশ সদস্যদের ছুটি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে। বিধি অনুযায়ী যেন তাদের ছুটি দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করতে পুলিশ স্টাফ কলেজসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ইউনিট প্রধানদের কাছে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরীর সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে ছুটি প্রাপ্তির এই নির্দেশনার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
নির্দেশনায় বলা হয়, পুলিশ সদস্যদের কল্যাণ ও সার্বিক গতিশীলতা নিশ্চিত করতে আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন সব পুলিশ সদস্যকে বিধি অনুযায়ী ছুটি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে অনুরোধ করা হলো।
জানা গেছে, বিধি অনুযায়ী ছুটি না পাওয়ার পুলিশ সদস্যদের মধ্যে মানসিক চাপ থাকতে পারে। গত তিন মাসে চার পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যার ঘটনায় এ বিষয়টিই আলোচনায় উঠে এসেছে।
এ ছাড়া গত তিন বছরে মোট ১৮ জন পুলিশ সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া বেশির ভাগ সদস্যই পারিবারিক কলহের জেরে এ পথে গিয়েছেন।
পুলিশ সদস্যরাই বলছেন, আত্মহত্যা করা বেশির ভাগ পুলিশ সদস্যদের এ প্রবণতার অন্যতম কারণ হলো ছুটি না পাওয়া। পরিবারের সঙ্গে এ নিয়ে দূরত্ব তৈরি হয়। আর এ থেকে পারিবারিক কলহ, সংসার ভেঙে যাওয়া এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে মানসিক চাপ তৈরি হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়।
পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনার, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত আইজি, আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের অতিরিক্ত আইজি, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) সদর দপ্তর কুর্মিটোলার মহাপরিচালক, পুলিশ টেলিকম সংস্থার অতিরিক্ত আইজি, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, অ্যান্টিটেরোরিজম ইউনিয়নের অতিরিক্ত আইজি, সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ, রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজি ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক পেয়েছেন এই নির্দেশনা।
পুলিশের আরও যেসব ইউনিট প্রধানদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, গাজীপুর ও রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনাররা। রয়েছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রঙপুর, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ পুলিশের দায়িত্বে থাকা ডিআইজি এবং এপিবিএন, বিশেষায়িত সিকিউরিটি ও প্রোটেকশন ব্যাটেলিয়ান, পিবিআিই, ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ডিআইজি।
এ ছাড়া টাঙ্গাইল, নোয়াখালী, রংপুর, খুলনার মিলব্যারাকের কমান্ড্যান্ট; পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন), খাগড়াছড়ির এপিবিএন ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কমান্ড্যান্ট; সব রেলওয়ে, হাইওয়ে ও শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপারসহ পুলিশের সব ধরনের ইউনিট প্রধানদের এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মুক্তা মাহমুদ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ