আওয়ামী লীগ
‘নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই মানুষের স্বস্তি নষ্টের পাঁয়তারা করছে বিএনপি’
‘শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতিতে বিএনপির আন্দোলন ভাবনায় সংকটের কালো ছায়া ফেলেছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই মানুষের স্বস্তি নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে বিএনপি।’ দেশ-বিদেশে অপপ্রচারের বাক্স খুলে বসা বিএনপি আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস এবং আল জাজিরার দেশ ও সরকারবিরোধী অপপ্রচার একই সূত্রে গাঁথ’। বলেলন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
'শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতিতে বিএনপির আন্দোলন ভাবনায় সংকটের কালো ছায়া ফেলেছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই মানুষের স্বস্তি নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে বিএনপি।' দেশ-বিদেশে অপপ্রচারের বাক্স খুলে বসা বিএনপি আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস এবং আল জাজিরার দেশ ও সরকারবিরোধী অপপ্রচার একই সূত্রে গাঁথ’। বলেলন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায়, সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা ভ্যাকসিন নিয়ে সংশয় সৃষ্টি এবং দুর্নীতির যে গল্প তৈরির অপচেষ্টা করেছিল, তা হালে পানি পায়নি।'
১৩ দিনে ২৩ লাখ মানুষের ভ্যাকসিন গ্রহণ শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের সোনালি বার্তা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'নেতা বানাতে হবে কর্মীদের সমর্থন ও মতামতের ভিত্তিতে। সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে, পকেট কমিটি করা যাবে না।'
কয়েকজন সড়ক পরিবহন কর্মকর্তাকে সতর্ক করে তিনি বলেন, কমিশন বাণিজ্যের ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, আবদুল আউয়াল শামীম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ চাটমোহর উপজেলার নেতারা।
শেখ সোহান
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/