জাতীয়
স্মার্ট খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী
সরকার দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়তে চায়। এজন্য স্মার্ট খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে এ অনুষ্ঠানটি চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা যত বেশি হবে শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন তত উন্নত হবে। এজন্য আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে খেলাধুলার দিকে জোর দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পরিবারটা খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমার দাদাও খেলতেন ফুটবল, আমার ছোট ভাই কামাল, সে তো বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিল। কামাল একাধারে ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ বিভিন্ন খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। আবাহনী ক্রীড়াচক্র সে নিজেই গঠন করে এবং সেভাবেই আমাদের যুব সমাজকে খেলাধুলায় প্রতি সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল। সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে সে অনেক উন্নত ছিল। এছাড়া উপস্থিত বিভিন্ন নাটকেও তার পারদর্শিতা ছিল।
সরকারপ্রধান বলেন, আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সে যুব সমাজের জন্য আধুনিক ফুটবল খেলার প্রবর্তন করে এবং আমাদের শিশু-কিশোর যুব সমাজ সকলেই খেলার প্রতি যেন বেশি উৎসাহী হয় সেজন্য সে বিশেষ নজর দিয়েছিল। সে ফুটবল ক্রিকেট হকিসহ বিভিন্ন খেলার সূচনা করেছিল এবং সে নিজেও সেগুলো খেলত।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আজ আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্মার্ট বাংলাদেশে আমাদের স্মার্ট খেলোয়াড় তৈরি করবে এবং আমরা সারা বিশ্বের যে কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করব, সেটাই আমি চাই।
তিনি বলেন, খেলাধুলা আমাদের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে যত বেশি ছড়িয়ে দিতে পারব, তত বেশি তাদের মনন ও মেধা বিকশিত হবে, স্বাস্থ্য আরও উন্নত হবে, মন উদার হবে, প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি হবে। যা শুধু খেলাধুলায় নয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধনে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে, আরও বেশি দক্ষতা যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। সে কারণেই সরকার গঠনের পর থেকে আমরা খেলাধুলার দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়রাও পিছিয়ে নেই। বিভিন্ন অলিম্পিকে তারা আমাদের জন্য স্বর্ণপদক অর্জন করে নিয়ে আসছেন। আমরা চাই বাংলাদেশ আত্ম সম্মানে যেমন এগিয়ে যাবে তেমনি ক্রীড়া ক্ষেত্রেও উৎকর্ষতা এবং উন্নত খেলোয়াড় সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় আমরা আরও ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করতে পারব।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন