লাইফস্টাইল
প্রেমের তো নাই কোন বয়স…
কথায় আছ প্রেমে পড়ার কোনও বয়স হয় না। যে কোনও বয়সে নতুন করে জীবন শুরু করাই যায়। তবে প্রচলিত একটি ধারণা, বেশি বয়সের পুরুষরা কমবয়সি প্রেমিকাই বেশি পছন্দ করেন। শুধু ধারণা নয়। বাস্তবেও রয়েছে এর ভূরি ভূরি উদাহরণ। বলিউডে শ্রীদেবী-বনি কপূর, করিনা কপূর-সইফ আলি খান, মিলিন্দ সোমন-অঙ্কিতা কোনওয়ার। টলিউডে দীপঙ্কর দে-দোলন রায়। সম্প্রতি বাংলার ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ অরুণলাল-বুলবুলও কিন্তু এ তালিকায় নিজেদের নাম যুক্ত করেছেন। চোখের সামনে অজস্র উদাহরণ, তবুও আমাদের চারপাশে কোনও বেশি বয়সি ব্যক্তি অল্পবয়সি কারও প্রেমে পড়লেই সবার যেন বড্ড সমস্যা!
সম্প্রতি ডিএলএফ গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান কেপি সিংহও জানিয়েছেন যে, তিনি ৯১ বছর বয়সে আবার জীবনে নতুন করে প্রেম খুঁজে পেয়েছেন। দীর্ঘ ৬৫ বছর বিবাহিত থাকার পর গেলো ২০১৮ সালে ক্যানসারে স্ত্রীকে হারিয়েছিলেন তিনি। স্ত্রীর মৃত্যুর পাঁচ বছর পর নতুন করে তিনি প্রেমে পড়ার খবর ঘোষণা করেছেন। কেপির প্রেমিকার নাম শীনা। যদিও তার বয়স সম্পর্কে কিছু জানাননি শিল্পপতি।
কেপি জানান, ‘‘আমি খুবই ভাগ্যবান। এক জন হাসিখুশি মহিলা এখন আমার সঙ্গী। তাঁর নাম শিনা। তিনি আমার জীবনের সেরা মানুষের মধ্যে এক জন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী মারা যাওয়ার ছ’মাস আগে আমাকে বলেছিলেন যাতে আমি জীবনে হাল না ছেড়ে দিই। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, আমার সামনে আরও অনেকটা জীবন পড়ে আছে। তিনি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিতে বলেছিলেন যে আমি জীবনে হাল ছাড়ব না। আমার বৌ বলেছিলেন, এ জীবন আর ফিরে আসবে না। এ কথাগুলি আমার সঙ্গে থেকে গিয়েছে। আমাকে সংস্থার হাল টিকিয়ে রাখতে হবে, তাই স্ত্রীর মৃত্যুতে বিষণ্ণ হয়ে পড়লে চলবে না।’’
কেপি সিংহকে টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ দিগ্বিজয় সিংহ। তিনি লিখছেন, ‘‘অনেক শুভেচ্ছা কে পি ভাই। বয়স কোনও ব্যাপার নয়।’’
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন এজিং অনুসারে, বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য একাকিত্ব এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয় দু’টি তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেসের মত অনুযায়ী, বেশি বয়সে, পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই বিভিন্ন কারণে সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
বয়স্ক বা দুর্বল হয়ে যাওয়া
পরিবারের সদস্য হিসাবে গুরুত্ব হারিয়ে ফেলা
অবসরপ্রাপ্তির পর কর্মজগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া
সঙ্গী কিংবা সমবয়সিদের মৃত্যু
অসুস্থতার কারণে শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে পড়া
বিশেষজ্ঞদের মতে, উপরের কারণগুলির জন্য বৃদ্ধ বয়সে মানুষ বিষণ্ণতা, একাকিত্ব, উদ্বেগে ভুগতে শুরু করেন। সঙ্গীর অভাবে নিজের মনের মধ্যে চলা উথালপাথাল আর কারও সঙ্গে ভাগ করতে না পেরে শারীরিক ও মানসিক, দু’দিক থেকেই আরও দুর্বল হয়ে পড়েন তারা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাকিত্ব যে কোনও বয়সে যে কাউকে গ্রাস করতে পারে, তাই বৃদ্ধ বয়সে কাউকে পাশে পাওয়া ভীষণ প্রয়োজন।
বৃদ্ধ বয়সে প্রেমে পড়ার ভাল দিক
বৃদ্ধ বয়সে সঙ্গীহারা হওয়ার পর বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে প্রেম অনেকটাই সাহায্য করে। কেবল কারও উপর নির্ভর করার জন্যই নয়, মন-মেজাজ ভাল রাখতেও এর জুড়ি নেই।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে বেশি বয়সে প্রেমের সম্পর্কে যাওয়ার পর মানুষ দীর্ঘজীবী হয়েছে। বয়স বাড়লে অনেকের ক্ষেত্রে সন্তারাও মুখ ফিরিয়ে নেন তাদের থেকে। তারাও নিজ নিজ জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটানোর অবসর পান না তারা। তাই সেই সময়ে এক জন সঙ্গীর খোজ করলে মন্দ কী? ৯১ বয়সে কেপি সিংহের প্রেমে পড়ার স্বীকারোক্তি আবার উস্কে দিয়েছে সেই প্রশ্ন।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন