রাজশাহী
পুনরায় ভোট গণনায় জয়ী পরাজিত প্রার্থী
নির্বাচনের ১৫ মাস পর ভোট গননায় বিজয়ী হলেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ২নং রাজাপুর ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী মুকুল হোসেন।
আজ বুধবার (১ মার্চ) বিকালে সিরাজগঞ্জ নির্বাচন ট্রাইবুনাল সদর কোর্টের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধান উপস্থিত থেকে পূনরায় ভোট গননা করেন।
এতে মুকুল হোসেন ফুটবল মার্কায় ৪৩ ভোটে বিজয়ী হন। ফুটবল প্রতিকের প্রার্থী মোট ৯২০ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকট তম প্রার্থী সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৭৭ ভোট।
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দুই নং রাজাপুর ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মোড়ক মার্কা প্রতিকের সাইফুল ইসলাম তার লোকবল দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে অভিযোগ করেন ফুটবল প্রতিকের প্রার্থী মুকুল হেসেন। তিনি জানান, ভোট গননার সময় সাইফুল ইসলাম তার লোকদের দিয়ে আমাকে সহ আমার সমর্থনকারী নূর মোহাম্মদ, শহিদুল, কামরুল সহ ২৫ জনকে মারধর করে আহত করে। এসময় ভোট গননায় বাধা দিয়ে তিনি তার জয় নিশ্চিত করে। অথচ সঠিক ভাবে ভোট গগনা হলে সে সময় আমি বিজয়ী হতাম। ভোটে এসময় ফুটবল প্রতিকে মুকুল হেসেন ৯৬১ ভোট পান। আর মোড়ক প্রতীকে সাইফুল ইসলাম ৯৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
পরে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারিতে বেলকুচি আমলি আদালতে ফুটবল প্রতীকে মুকুল হোসেন বাদী হয়ে পুনরায় ভোট গণনার জন্য মামলা করেন। পরে দীর্ঘ ১৫ মাস পর দুই প্রার্থীর উপস্থিতে সিরাজগঞ্জ নির্বাচন ট্রাইবুনাল সদর কোর্টের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধান পূনরায় ভোট গননা করে। এতে ফুটবল প্রতীকের মহকুল হোসেন মোট ৯২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
বিজয়ী মুকুল হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৫ মাস পরে আজ আমি আইনের বিচার পেলাম। গননায় ৪৩ ভোটে আমি বিজয়ী হয়েছি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. রেজাউল করিম রাখল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘ ১৫ মাস পর আইনী লড়াই শেষে আজ আদালত ভোট গননা করে মুকুল হোসন বিজয়ী হন। এতে করে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। পরবর্তীতে এই রায়ের কপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।
মোড়ক প্রতীকে সাইফুল ইসলামের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী জিন্না।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন