রাজশাহী
রাজশাহীতে মানববন্ধনে ধাক্কা-ধাক্কি, ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ ) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর জিরোপয়েন্টে ‘সচেতন রাজশাহীবাসীর’ ব্যানারে এ মানববন্ধ করা হয়।
তবে মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে কিছু ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়ে মানববন্ধনের বাধা দেয় ও ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় মানববন্ধনকারীদের সাথে তাদের ধাক্কা-ধাক্কির ঘটনাও ঘটে। পরে সেখানে উপস্থিত বোয়ালিয়া থানা পলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ডাবলু সরকারের বিরুদ্ধে করা মানববন্ধনের ব্যানারে লেখা ছিল, ডাবলু সরকারের নোংরা ভিডিও রাজনীতিতে অশনি সংকেত ও সমাজের জন্য বিপদজ্জনক। অবিলম্বে ডাবলু সরকারকে রাজনীতি থেকে অপসরণ করতে হবে।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিছু ব্যক্তি সচেতন রাজশাহীবাসীর ব্যানারে নগরীর জিরোপয়েন্টে প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ জড়ো হয়। এরপর তারা ব্যানার বের করে দাঁড়িয়ে যান মানববন্ধনে। মানববন্ধনে দাঁড়ানো বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ডাবলু সরকারের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন। প্রায় ১৫ মিনিট পর কিছু লোকজন আসেন সেখানে। তারা মানববন্ধন করতে নিষেধ করেন। নিষেধ করলেও তারা মানববন্ধন চালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় ধাক্কা-ধাক্কি। পরে তাদের মানববন্ধনের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়া হয়।
তবে মানববন্ধনের উপস্থিত লোকজনের দাবি করেছে, যারা মানববন্ধন করতে বাধা দিয়েছে তারা সবাই ডাবলু সরকারের লোকজন। ডাবলু সরকারের লোকজন হঠাৎ করেই সেখানে উপস্থিত হয়ে মানববন্ধন করতে নিষেধ করেন। তারা নিষেধ উপেক্ষা করে মানববন্ধন চালিয়ে গেলে তাদেও উপর হামলা চালানো হয়। ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ার সাথে তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, মানববন্ধনে তেমন কিছু হয়নি। থানা পুলিশ সেখানে মোতায়েন ছিল। সামান্য বাকবিতন্ডা শুরু হলে পুলিশ দুপক্ষকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন