ফুটবল
বিশ্বকাপে বাই পর্বে কনকাকাফ অঞ্চলের তারিখ ঘোষণা
আগামী বছর মার্চে ২০২৬ বিশ্বকাপে কনফেডারেশন অব নর্থ ও এন্ড সেন্ট্রাল আমেরিকান এন্ড ক্যারিবিয়ান আসোসিয়েশন (কনকাকাফ) অঞ্চলের বাই পর্ব শুরু হবে। বাছাইপর্বে অংশ নেবে মধ্য আমেরিকান ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ৩২টি দেশ। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার আগে একটি দল বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ ১২টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।
কনকাকাফ অঞ্চল থেকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক তিন দল যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। ২০২৬ সালের জুন-জুলাইয়ে এই তিন দেশে বসবে বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। গেলো বছর কাতার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা কানাডা বাছাইপর্বে ২০টি ম্যাচ খেলেছিল। এবার ম্যাচ কমিয়ে এবার ১২টিতে আনা হয়েছে।
কনফেডারেশন অব নর্থ ও এন্ড সেন্ট্রাল আমেরিকান এন্ড ক্যারিবিয়ান আসোসিয়েশন ফুটবল জানিয়েছে আগামী বছর মার্চে বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ফিফা র্যাংকিং অনুযায়ী সর্বনিম্ন স্থানে থাকা চারটি দল এই পর্বে অংশ নেবে। প্রতিটি দল একে অপরের হোম এন্ড এ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলবে। কনকাকাফের বাকি ২৮টি দল বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে যোগ দেবে। এই রাউন্ড ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জুনে অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচ দল নিয়ে ছয়টি গ্রুপে সিঙ্গেল রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি দল দুটি করে হোম ম্যাচে খেলার সুযোগ পাবে।
কোস্টা রিকা, পানামা, জ্যামাইকা, এল সালভাদোর ও হন্ডুরাস সম্ভাব্য বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ র্যাংকধারী দল হিসেবে খেলতে নামবে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল ১২ জাতির ফাইনাল রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। ফাইনাল রাউন্ডে চারটি করে দল তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নিবে। ডাবল রাউন্ড-রবিন লিগের ম্যাচগুলো ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি গ্রুপের বিজয়ী দল ৪৮ দেশের বিশ^কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
কনকাকাফ আরো জানিয়েছে এ বছরের নভেম্বরে কনকানাফ নেশন্স লিগ এ’র চারটি কোয়ার্টার ফাইনালে বিজয়ীরা আগামী বছর কোপা আমেরিকায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের সর্বোচ্চ এই আসর ইকুয়েডর থেকে সড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে। চার কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত দলগুলো ২০২৪ সালের মার্চে কোপা আমেরিকার প্লে-ইনে অংশ নিবে। এখান থেকে বিজয়ী দুটি দল ১৬ জাতির টুর্নামেন্টের অংশ নেবে। কোপা আমেরিকায় ১০টি দল অংশ নিয়ে থাকে।
২০২৩-৩৪ নেশন্স লিগ’এর টুর্নামেন্ট ১২ দল থেকে ১৬টি দলে উন্নীত করা হয়েছে। এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বরে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। হোম-এন্ড-হোম ফর্মেটের নতুন কোয়ার্টারফাইনাল রাউন্ড নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। র্যাঙ্কিংয়ের সবচেয়ে নীচে থাকা ১২টি ছয় দল করে দুটি গ্রুপে অংশ নিবে। প্রতিটি দল চারটি করে ম্যাচ খেলবে। দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। কোয়ার্টার ফাইনালে বিজয়ী দল ২০২৪ সালের মার্চে ফাইনাল রাউন্ডে খেলার জন্য মনোনীত হবে।
লিগ-বি চার গ্রুপে ও লিগ-সি যথারীতি তিন গ্রুপে অনুষ্ঠিত হবে। লিগ-বি’র শীর্ষ চার দলের পরবর্তী লিগে উন্নীত হবার সুযোগ রয়েছে। তবে ২০২২-২৩ নেশন্স লিগে কোন রেলিগেশন রাখা হয়নি। ২০২৩-২৪ টুর্নামেন্টের পর লিগ-এ’র পঞ্চম ও ষষ্ঠ দলটি রেলিগেটেড হয়ে যাবে। লিগ-বি’র চারটি দল উন্নীত হবে। একইসাথে এই লিগের শেষ চারটি দল রেলিগেটেড হয়ে যাবে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন