ফুটবল
যারা কথা বলবে তাদের কাছে মেসির চেয়ে এমবাপ্পে ভালো, ব্যস ক্লাসরুম শান্ত
শিক্ষকদের জন্য সব থেকে কঠিন একটি কাজ ক্লাস রুমে বাচ্চাদের সামলানো। ক্লাস রুমের পরিবেশ ঠান্ডা করতে শিক্ষকদের নানা রকম কৌশল অবলম্বন করতে হয়! তবু কাজ হতে চায় না সবসময়। তবে আর্জেন্টিনার একটি স্কুলের এক নারী শিক্ষক এমন এক পথ অবলম্বন করলেন, যা নজর কারলো পুরো ফুটবল বিশ্বের। কি এমন বললো সেই শিক্ষিকা স্রেফ একটা কথাতেই ক্লাসে নেমে আসলো পিনপতন নীরবতা।
আর্জেন্টিনার এক স্কুলের শিক্ষক মার্গারিটা ক্লাসে ঢুকে বাচ্চাদের কোনোভাবেই সামাল দিতে পারছিলেন না। বাচ্চাদের কোলাহলের কারণে ক্লাস তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এরপর সেই শিক্ষক বাচ্চাদের বলেন, ‘যারা চুপ করবে না, তাদের কাছে মেসির চেয়ে এমবাপ্পে ভালো।’ ব্যস, সঙ্গে সঙ্গে ক্লাসরুম হয়ে যায় একদম নীরব।
মার্গারিটা নিজের টিকটকে ভিডিওটি ছাড়েন। এরপর তা ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। সেই শিক্ষক যে স্কুলে চাকরি করেন, সেখানে তাঁর নিজের ক্লাসরুমে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, বাচ্চাদের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চুপ করে যাওয়া দেখে শিক্ষক নিজেই অবাক হয়েছেন। পরে বলেছেন, বড়জোর ১০ সেকেন্ড সময় লেগেছে (চুপ করতে)। অসাধারণ লেগেছে। এটাই সর্বকালের সেরা ফুটবলারের ক্ষমতা।
অনেকেই সেই শিক্ষককে অভিবাদন জানিয়েছেন। কেউ কেউ মজাও করেছেন। ভিডিওটির মন্তব্যে লিখেছেন, আমি এখনও চুপ করে আছি। কথা বলিনি।
How an Argentine school teacher silences her class:
“The person who keeps talking prefers Mbappé over Messi.”
Teacher of the Year Award. 🏆🇦🇷
— Barstool Football (@StoolFootball) March 6, 2023
জাতি হিসেবে আর্জেন্টাইনরা ফুটবলপাগল। গত বছরের শেষ মাসে কাতার বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে দেশটি। সদ্য বিশ্বকাপ জয়ের আর্জেন্টাইনদের হিরো লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ক্লারিনের তথ্য মতে, দেশটির খুদে শিক্ষার্থীরা শুধু মেসিদের জাতীয় দলের জার্সি পরছে এমনটি নয়।পাশাপাশি খেলোয়াড়ের ছবিসংবলিত নোটবই, পেনসিল, ব্যাগ ব্যবহার করছে। মেসিদের প্রতি বাচ্চাদের এতো বেশি টান যে, ‘ বাচ্চারা ফুটবলারদের সঙ্গে ভালোবাসা না দেখিয়ে অপরাধবোধে ভুগতে চায় না।’
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন