আইন-বিচার
বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা
ভোলার লালমোহনে বাকপ্রতিবন্ধী দুই সন্তানের জননী স্বপ্না আক্তার (২৯) নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মাথায় দুই হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর গেলো বুধবার (৮ মার্চ) আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের জেল হাজাতে পাঠানো হয়। লালমোহন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নাজিম (২১) উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুলবাগিচা এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে, তিনি পেশায় জাহাজের শ্রমিক ও একই এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আনোয়ার (২১), তিনি পেশায় টাইলস মিস্ত্রি।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্র জানায়, গেলো রোববার (৫ মার্চ) রাতে উপজেলার দেওয়ানকান্দি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ওই বাকপ্রতিবন্ধী নারী। নিখোঁজের দুই দিন পর গেলো মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে প্রতিবেশী মিঝি বাড়ির বাগানের ডোবার মধ্য থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত স্বপ্নার ভাই রিয়াজ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে লালমোহন থানায় মামলা করেন।
নিহত স্বপ্নার ভাই রিয়াজ জানান, গৃহবধূর স্বামী শুক্কুর আলী দ্বিতীয় বিয়ে করায় তাকে দুই সন্তানসহ ফেলে রেখে খাগড়াছড়ি চলে যায়। সেই থেকে তাদের বাড়িতেই সন্তানদের নিয়ে বাস করছিলেন স্বপ্না। ৫ মার্চ সন্ধ্যায় দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী দোকানে গিয়েছিল। এরপর আর সে বাড়ি ফিরেনি। রাত ৩টার দিকে মাকে না দেখে দুই সন্তান কান্নাকাটি শুরু করে। এর দুই দিন পর স্বপ্নার মরদেহ তাদের বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি নির্জন বাগানের ডোবার মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় গৃহবধূকে ধর্ষণের আলামত পেয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। জানা যায়, ঘটনার পরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিল আনোয়ার। ৭ মার্চ রাত ১২টার দিকে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট দিয়ে পালানোর সময় আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে একই দিন সন্ধ্যার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় নাজিমকে।
পুলিশ ও আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ার ও নাজিম জানিয়েছে, গেলো ৫ মার্চ সন্ধ্যার পর বাড়ির কাছের একটি দোকানে প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা শেষে ঘরে ফিরছিল বাক প্রতিবন্ধী গৃহবধূ। এ সময় তার পিছু নেয় তারা। ওই বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূ বাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার একপর্যায়ে জোরপূর্বক তাকে বাগানের মধ্যে নিয়ে পালাক্রমে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরপর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে ধর্ষণের শিকার বাক প্রতিবন্ধী নারীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাগানের ডোবার মধ্য মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন