জাতীয়
ওমরাহের জন্য ১৬৭টির অনুমোদন
অনুমোদিত ওমরাহ এজেন্সিকে শর্তসাপেক্ষে ওমরাহ যাত্রীদেরকে সৌদি আরব পাঠানোর জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ১৬৭টি অনুমোদিত ওমরাহ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১৬ নভেম্বর ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (ওমরাহ) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে। শর্তসমূহ হলো-
জাতীয় হজ ও ওমরাহ অনুচ্ছেদ ২২.২১, ২২২ ২২.২২ অনুযায়ী যথাসময়ে ওমরাহ যাত্রী প্রেরণ, তাদেরকে যথাযথ সেবা প্রদান এবং যথাসময়ে দেশে ফেরত আনতে হবে। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৩ হিজরি এর মধ্যে প্রেরিত ওমরাহ যাত্রী সৌদি আরবে গমন এবং বাংলাদেশে ফেরত আসার বিস্তারিত প্রতিবেদন পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকা বরাবর দাখিল করতে হবে।
অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ওমরাহ এজেন্সি পরবর্তী বছরের জন্য বৈধ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে এবং জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি, ২০১৯ এর অনুচ্ছেদ নং ২২.২.৩ অনুযায়ী অনুমোদিত বৈধ এজেন্সি সরকার অনুমোদিত নির্ধারিত কোটার অতিরিক্ত ওমরাহ যাত্রী প্রেরণ করতে পারবে না; অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ওমরাহ এজেন্সি পরবর্তী বছরের জন্য বৈধ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে এবং জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি, ২০১৯ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি, ২০১৯ এর অনুচ্ছেদ নং ২২.২.৪ অনুযায়ী কোনো ওমরাহ যাত্রী যথাসময়ে দেশে ফেরত না এলে সংশ্লিষ্ট ওমরাহ যাত্রীর দেশে ফেরার নির্ধারিত তারিখের ১ মাসের মধ্যেই নাম, ঠিকানা, পাসপোর্ট নম্বর ফেরত না আসার বিস্তারিত কারণ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকা এবং কাউন্সেলর (হজ), বাংলাদেশ হজ অফিস, জেদ্দা বরাবর দাখিল করতে হবে।
অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ওমরাহ এজেন্সি পরবর্তী বছরের জন্য বৈধ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে এবং জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি, ২০১৯ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি, ২০১৯ এর অনুচ্ছেদ নং ২২.২.৫ অনুযায়ী ওমরাহযাত্রীদের জন্য সৌদি আরবে ব্যয়িত সকল প্রকার অর্থ এজেন্সির নিজস্ব ব্যাংক হিসাব হতে আইবিএন এর মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে এবং আইবিএন একাউন্ট নম্বর ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অবশ্যই অবহিত করতে হবে।
অন্যথায় কোনো ওমরাহ এজেন্সিকে পরবর্তী বছরে ওমরাহ কার্যক্রমের জন্য অনুমতি দেয়া হবে না; ওমরাহ এজেন্সি কর্তৃক ওমরাহ প্রসেসিং ফি ও প্রদেয় সকল সেবার নির্ধারিত ব্যয় উল্লেখপূর্বক বিভিন্ন ক্যাটাগরির ওমরাহ প্যাকেজ ঘোষণা করবে এবং এর কপি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও হজ অফিস, ঢাকায় প্রেরণ নিশ্চিত করবে।
প্যাকেজ ঘোষণা না করলে ওমরাহ এজেন্সিকে ওমরাহযাত্রী প্রেরণের অনুমতি প্রদান করা হবে না। ওমরাহ লাইসেন্স নবায়নের (২০১৯-২০২০) অন্য লাইসেন্স নবায়নের সময় (২০১৯-২০২০) সালের নির্ধারিত এর অতিরিক্ত যাত্রী প্রেরণ করা হয় নাই এবং প্রেরিত সকল আমরা যাত্রী দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন এই মর্মে অঙ্গীকার নামা দাখিল করতে হবে।
এস মুন্নী
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ