রাজশাহী
পঞ্চগড়ে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
তৃতীয় ধাপে পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু ঢাকা থেকে ফিরছেন। তাকে বরণ করতে ইউনিয়ন থেকে কয়েক’শ মোটরসাইকেল, পিকআপ-ট্রাক নিয়ে তার কর্মী সমর্থকেরা বের করেছেন বিশাল গাড়ি বহরের শোডাউন। পিছে পড়ে যাওয়ায় এই শোডাউনে অংশ নিতে তড়িঘড়ি করে মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটছিলেন ওই ইউনিয়নের বোদাপাড়া বোর্ডবাজার এলাকার রাশেদুল ইসলাম ও তার ভাজিতা শাহিনুর ইসলাম শাহিন।
মোটরসাইকেল নিয়ে তড়িঘড়ি করে বোর্ডবাজার এলাকা থেকে পঞ্চগড়ে যাওয়ার সময় সদর উপজেলার পঞ্চগড়-তেতুঁলিয়া সড়কের জগদল ঠুটাপাখুরী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই দুই মোটরসাইকেলের চালকেরা নিহত হয়। এসময় আহত হন দুই মোটর সাইকেলের দুই আরোহী।
নিহতরা হলেন, জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের বোদাপাড়া বোর্ডবাজার এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২৮) ও তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ি এলাকার হামিদুল ইসলামের ছেলে রিফাদুজ্জামান বাবু (২০)।
আহত দুই আরোহী হলেন, সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের বোদাপাড়া বোর্ডবাজার এলাকার তবিবর রহমানের ছেলে শাহিনুর ইসলাম শাহিন (২০) ও তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ইসলামবাগ এলাকার আলমের ছেলে রনি (২২)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাশেদুল ও তার ভাতিজা শাহিন অমরখানা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নুরুজ্জামান নুরুকে পঞ্চগড় থেকে আনতে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে রওনা হয়। শোডাউন তাদের আগেই চলে যায়। পরে তারা তড়িঘড়ি করে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলে রওনা হয়।
এদিকে পঞ্চগড় থেকে রিফাদুজ্জামান বাবু ও রনি মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। রাশেদুলরা দ্রুত গতিতে যাওয়ার পথে ঠুঁটাপাখুরী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই রাশেদুল ইসলাম ও রিফাদুজ্জামান বাবু মারা যান। এসময় মোটরসাইকেল দুটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে শাহিন ও রনিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শাহিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তেতুঁলিয়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এস
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ