আইন-বিচার
ড. ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় দুদক
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমের দুর্নীতির অনুসন্ধান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যে অভিযোগসংশ্লিষ্ট অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান কর্মকর্তারা।
আজ রোববার (১২ মার্চ) দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান দুটি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। কমিশনে অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমার আগেই গ্রামীণের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় অনুসন্ধান দল।
তিনি বলেছেন, অনুসন্ধান চলাকালে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ করা হলে তিনি না এলেও অনুসন্ধান কাজ বিঘ্নিত হয় না। অনেককে অনেক সময় পাওয়া যায় না। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন আছে কিনা তা অনুসন্ধান কর্মকর্তার ওপর নির্ভর করবে।
যদি তিনি প্রয়োজন মনে করেন তবে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তবে এক্ষেত্রে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি হলে তিনি আমাদের কাছে পরামর্শ চাইতে পারেন।
দুদক কমিশনার আরও বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কে জড়িত বা কে জড়িত না এ বিষয়টি আমাদের কাছে মুখ্য নয়। আমরা বস্তুনিষ্ঠভাবেই অভিযোগগুলো বিবেচনা করার চেষ্টা করছি। দ্রুতই অনুসন্ধান কাজ শেষ হবে।
অনুসন্ধান শেষে যে রিপোর্ট আমরা পাব সেটা কমিশনে পর্যালোচনা করা হবে। পর্যালোচনায় যদি আমাদের কাছে মনে হয় এ নিয়ে আরও অগ্রসর হওয়া দরকার তাহলে সেটা তদন্তের জন্য বিবেচনা করব। সেটা অবশ্যই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত হবে। আর যদি মনে হয় অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না তাহলে এটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারে। এর পরিণতি কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা এখনই বলতে পারব না।
জানা গেছে, গ্রামীণ টেলিকমে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ বিতরণ না করে আত্মসাৎ এবং প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক প্রতিবেদনটি পাঠান। কমিশন সেটা পর্যালোচনা করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন