আন্তর্জাতিক
সুপার ক্লাসিকোতে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা
আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা) ২০২৬ বিশ্বকাপের ফরমেট ঘোষণা করেছে। প্রথমবারের মতো এ আসরে অংশ নিবে ৪৮টি দল। কাতারে হয়েছে ৬৪ ম্যাচ। তবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা আসরে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে এখন ১০৪টি।
প্রথম পর্বে তিন দলের ১৬ গ্রুপ আলোচনায় থাকলেও এখন ৪ দলের ১২ গ্রুপে হবে খেলা। প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল যাবে রাউন্ড অব থার্টি টুতে।
বাকি ৮ দল আসবে আট গ্রুপের তৃতীয় সেরা হয়ে। তারপর থেকে নক আউট পর্ব। রাউন্ড অব থার্টি টু, রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। এক রাউন্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় আসরের ফাইনালিস্ট দুই দলকে খেলতে হবে আটটি করে ম্যাচ। যেখানে ৩২ দলের আসরে ফাইনালিস্টরা খেলত ৭টি করে।
চূড়ান্ত হয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন। যুক্তরাষ্ট্রে (১৯ জুলাই) রোববার হবে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। তিন দেশের আসরে সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রের ১১ শহরে হবে খেলা। মেক্সিকোর তিন আর কানাডার দুই শহরে হবে বাকি ম্যাচ।
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার সুপার ক্লাসিকো ম্যাচটি দেখার আগ্রহ ছিল পুরো ফুটবল বিশ্বের। কিন্তু সে আশা আর পূর্ণ হয়নি। তবে বিশ্বকাপ শেষে আবার মাঠে নামবে ফুটবলের দুই পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।
যেহেতু ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে হবে সবাইকে সে হিসেবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা উভয় দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে। ২০২১ সালে সবশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। যদিও সে ম্যাচটি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কোভিড বিধি না মানার অভিযোগে বাতিল করা হয়েছিল। তারপরে আরও কয়েকবার মাঠে নামার কথা শোনা গেলেও বাস্তবে তা আর রূপ নেয়নি।
তবে এবার চলতি বছর সুপার ক্লাসিকোতে দেখা হবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার। ব্রাজিল তাদের যাত্রা শুরু করবে বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আর আর্জেন্টিনা যাত্রা করবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।
চিরপ্রতিদ্বন্দী এ দু’দলের দেখা হবে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ষষ্ঠ রাউন্ডে। যেটি অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে। আর্জেন্টিনা আতিথেয়তা নিতে যাবে ব্রাজিলে। বিশ্বকাপের আগে এই দুই দলের আবার দেখা হবে। সেটি হবে বাছাইপর্বের ১৪তম রাউন্ড। সেই ম্যাচটি হবে ২০২৫ সালের মার্চে। এবার ব্রাজিল আসবে আর্জেন্টিনার আতিথেয়তা নিতে।
২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে চলতি বছর ৬টি করে ম্যাচ খেলবে প্রতিটি দল। এই ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে। ২০২৪ সালেও একই সময়ে বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো হবে। তবে ২০২৫ সালে মার্চ, জুন ও সেপ্টেম্বরে হবে। আর সে বছরই শেষ হবে দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইপর্ব।
আমেরিকা, মেক্সিকো ও কানাডায় হওয়া ২০২৬ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ছয়টি দেশ খেলার সুযোগ পাবে। তবে ওই ৬ দল বাদে আর কোনো দল খেলতে পারবে কি না, সেটি জানা যাবে প্লে অফের পরে।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত : মার্কিন মুখপাত্র
অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে অভিননন্দ জানিয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান ম্যাথিউ মিলার। তবে কোন বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন নি।
আই/এ
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
আন্তর্জাতিক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়নের ব্যাপারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেনো গণতন্ত্র, আইন ও বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করে-এমনটাই চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার (৭ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে এমনটাই আশা করে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এদিন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইরাকের এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তার বা অন্যদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ হয়েছি কী? বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?’
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা এখনও যোগাযোগ করেনি। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখছি এবং আমরা এরইমধ্যে দেখেছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনি নিশ্চয়ই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শুনেছেন যে. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা যেনো গণতান্ত্রিক নীতিমালাকে, আইনের শাসন এবং সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী একটি প্রশ্ন করেন। তার প্রশ্নটি ছিল, আপনি কি জানেন যে স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করে নতুন সরকারকে হুমকি দিচ্ছেন, সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন? তিনি সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন যিনি বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। দয়াকরে তার ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানাবেন কী?’
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিকের বিবৃতি নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি এরইমধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলেছি এবং আমরা দেখতে চাই এই সরকার কী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যায়।
এসময় মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও জানতে চান, ‘দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা নিয়ে আপনার কী মন্তব্য?
জবাবে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের মুখপাত্র বলেন, শনের প্রশ্নের উত্তরে আমি যেমনটি বলেছি – অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা দেখতে চাই ওই সিদ্ধান্তে যেনো গণতান্ত্রিক নীতি মেনে চলা হয় এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ওই ব্রিফিংয়ে ফিলিস্তিনের গাজা, দক্ষিণ আমেরিকার ভেনিজুয়েলা, ইরাক ও ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এমআর//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন