রংপুর
গাইবান্ধা পৌরসভার জলবায়ু সহনীয় অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন সভা
গাইবান্ধা পৌরসভার শহর পর্যায়ে জলবায়ু সহনীয় অবকাঠামো প্রকল্পটির আওতায় চুড়ান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (১৮ মার্চ) গাইবান্ধা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গাইবান্ধা পৌরসভার উন্নয়নকল্পে সহযোগিতার জন্য দাতা সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের শিখড়ে পৌছে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত মানুষ তার সুফল পাচ্ছে। গাইবান্ধা পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো যাতে নির্বিঘ্নে ও সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য জেলার সকল সরকারি দপ্তর প্রধানদের সহযোগিতার আহবান জানান তিনি।
মেয়র মতলুবর রহমান বলেন, এই উন্নয়ন প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে গাইবান্ধা শহর যেমন দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে পাশাপাশি নাগরিক সেবারও মানোন্নয়নও বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য তিনি গাইবান্ধাবাসির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। পৌরসভার সকল কার্যক্রমে সহযোগিতা করায় জাতীয় সংসদের হুইপ গাইবান্ধা সদর আসনের এমপি মাহাবুব আরা বেগম গিনির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় পৌরসভার সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ছাড়াও সড়ক, রেল বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় অনুষ্ঠিত আলোচনায় আরও অংশ নেন গাইবান্ধা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদল হক শাহজাদা, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্যাহ হারুন বাবলু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক সাইফুল আলম সাকা, গাইবান্ধা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, বেসরকারি সংগঠন এসকেএস’র প্রতিনিধি আশরাফুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা পৌর মেয়র মো. মতলুবর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান।অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য দেন সহনীয় অবকাঠামো প্রকল্পের কনসালটেন্ট জন কেমার, প্রজেক্ট ডিরেক্টর নাজমুল হাসান চৌধুরী, সেক্টর স্পেশালিস্ট মানিক কুমার সাহা, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হানিফ সরদার, নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল হক, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ২০ কি.মি. নতুন পাকা ড্রেন নির্মাণ, ড্রেন সংলগ্ন পাকা রাস্তাসহ অন্যান্য রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার, শহরের সৌন্দর্যবর্ধনে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ, সড়ক বাতি (সৌন্দর্যবর্ধন ও নিরাপত্তায়) মানববর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণে যানবাহন সরবরাহ ও সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা পৌরসভার সুশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রর্বতন ও কার্যকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
জাতীয়
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ নিহত ৫
রংপুরে অসহযোগ আন্দোলনে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে রংপুর নগরীতে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হারাধন রায় হারা রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি। নিহতের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রসিক কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান শাহাজাদা।
নিহত অন্য চারজন হলেন নগরীর গুড়াতিপাড়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খরশু মিয়া, যুবলীগ নেতা মাসুম, হারাধন রায়ের ভাগ্নে এবং অপরজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা যায়, সকাল থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ঘিরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ অবস্থান নেন নগরীর টাউনহল চত্বরে। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পরে জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে পায়রা চত্বরে পুনরায় অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে গিয়ে আটকে পড়েন পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা। পরে পায়রা চত্বর থেকে পালিয়ে কালিবাড়ি মন্দিরে প্রবেশ করার সময় আন্দোলনকারীদের হাতে ধরা পড়েন হারাধন রায় হারা। সেখানেই এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত হলেও পুনরায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন তারা। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনা জানার পর হারাধনের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে অবস্থান করা এনটিভির ক্যামেরাপারসন আরমান, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের রিপোর্টার ফখরুল শাহীন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার রেজাউল ইসলাম মানিক, একুশে টিভির ক্যামেরাম্যান আলী হায়দার রনি, ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক রাশেদ রাব্বি, অনলাইনের মিজানসহ ১০ জন গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর করেছেন আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি ডিউক চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন, গংগাচড়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুন, মিঠাপুকুর উপজেলার পরিষদ চত্বরে ইউএনও অফিস, বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়াম, আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন দফতরে ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এএম/
দেশজুড়ে
রংপুরে আ.লীগের এমপির বাসায় আগুন, লুটপাট
রংপুরের বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক) ও পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরীর (টুটুল) বাসায় আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আগুন দেওয়ার পর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রথমে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা ও ধাওয়া দিয়েছেন। পরে বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে স্থানীয় দুপুর ১২টার দিকে আগুন দেয়। বিক্ষোভকারীরা লাঠি হাতে ওই দুই বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে।
অন্যদিকে রংপুর শহরের সুপার মার্কেটের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। রোববার (৪ আগস্ট) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/
দেশজুড়ে
সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রংপুর, নিহত ২
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
রোববার (৪ আগস্ট) সকালে শহরের সুপার মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ও নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় নি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন