রংপুর
তদন্তের নামে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লেন পুলিশ কর্মকর্তা
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পারিবারিক মামলা তদন্তের নামে গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেন (৩৮) নামে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকে(এএসআই) আটক করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে জনগণ ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে সুন্দরগঞ্জ থানা ও কঞ্চিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ এসে জনগণকে ছত্রভঙ্গ করে তোফাজ্জলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ছড়ারপাতা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, এএসআই তোফাজ্জল হোসেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত রয়েছেন। কিছুদিন আগে ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে তার ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। পরে ওই নারী বাদী হয়ে থানায় ভাসুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তভার পড়ে এএসআই তোফাজ্জল হোসেনের কাছে। পরে তদন্তে গিয়ে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেন তিনি।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তোফাজ্জল হোসেন ছড়ারপাতা গ্রামের ওই সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে আসেন। পরে গোয়ালঘরে আপত্তিকর অবস্থায় ওই নারীর সঙ্গে তাকে দেখে ফেলেন এক প্রতিবেশী। এ ঘটনা জানাজানি হলে শত শত উত্তেজিত জনতা তোফাজ্জলসহ প্রবাসীর স্ত্রীকে আটক করে বাড়ির উঠানের আমগাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সুন্দরগঞ্জ থানা ও কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে যান।
তারা বাশি বাজিয়ে জনগণকে ছত্রভঙ্গ করে। ওই প্রবাসীর বাড়ি থেকে তাড়াহুড়া করে বের হতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তোফাজ্জল হোসেনকে উদ্ধার করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তাকে সুন্দরগঞ্জ থানায় নিয়ে যান। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হবে এমন আশঙ্কা থেকে প্রবাসীর স্ত্রীকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ তাকে থানায় যেতে দেয়নি। প্রবাসীর স্ত্রী তার বাড়িতে আছেন।
প্রবাসীর স্ত্রী এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মানষ রঞ্জন বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং উত্তেজিত জনগণকে শান্ত করার চেষ্টা করি।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহিল জামান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখান থেকে এএসআই তোফাজ্জল হোসেনকে উদ্ধার করা হয়। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয়
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ নিহত ৫
রংপুরে অসহযোগ আন্দোলনে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে রংপুর নগরীতে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হারাধন রায় হারা রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি। নিহতের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রসিক কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান শাহাজাদা।
নিহত অন্য চারজন হলেন নগরীর গুড়াতিপাড়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খরশু মিয়া, যুবলীগ নেতা মাসুম, হারাধন রায়ের ভাগ্নে এবং অপরজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা যায়, সকাল থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ঘিরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ অবস্থান নেন নগরীর টাউনহল চত্বরে। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পরে জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে পায়রা চত্বরে পুনরায় অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে গিয়ে আটকে পড়েন পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা। পরে পায়রা চত্বর থেকে পালিয়ে কালিবাড়ি মন্দিরে প্রবেশ করার সময় আন্দোলনকারীদের হাতে ধরা পড়েন হারাধন রায় হারা। সেখানেই এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত হলেও পুনরায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন তারা। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনা জানার পর হারাধনের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে অবস্থান করা এনটিভির ক্যামেরাপারসন আরমান, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের রিপোর্টার ফখরুল শাহীন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার রেজাউল ইসলাম মানিক, একুশে টিভির ক্যামেরাম্যান আলী হায়দার রনি, ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক রাশেদ রাব্বি, অনলাইনের মিজানসহ ১০ জন গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর করেছেন আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি ডিউক চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন, গংগাচড়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুন, মিঠাপুকুর উপজেলার পরিষদ চত্বরে ইউএনও অফিস, বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়াম, আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন দফতরে ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এএম/
দেশজুড়ে
রংপুরে আ.লীগের এমপির বাসায় আগুন, লুটপাট
রংপুরের বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক) ও পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরীর (টুটুল) বাসায় আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আগুন দেওয়ার পর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রথমে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা ও ধাওয়া দিয়েছেন। পরে বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে স্থানীয় দুপুর ১২টার দিকে আগুন দেয়। বিক্ষোভকারীরা লাঠি হাতে ওই দুই বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে।
অন্যদিকে রংপুর শহরের সুপার মার্কেটের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। রোববার (৪ আগস্ট) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/
দেশজুড়ে
সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রংপুর, নিহত ২
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
রোববার (৪ আগস্ট) সকালে শহরের সুপার মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ও নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় নি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/