আইন-বিচার
এবার সেই স্ক্যান্ডাল ইস্যুতে প্রভা পেলেন আইনি নোটিশ
দীর্ঘ দেড় যুগের বেশি সময় ধরে মিডিয়ায় নিয়মিত অভিনয় করছেন সাদিয়া জাহান প্রভা। সেই ২০০৫ সাল থেকে মডেলিংয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। ছোট পর্দার এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী নিপুণ রূপ-লাবণ্যে যেমন দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে আলোচিত হয়েছেন, ঠিক তেমনি বিয়ে এবং একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে হোঁচট খেয়েছেন তিনি। এই গল্পটি সবারই জানা। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় তিনি কথাও বলেছেন। এবার সেই স্ক্যান্ডালের কারণে পেলেন আইনি নোটিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ডাক বিভাগের রেজিস্ট্রি ৫১৪ নম্বর রশিদের মাধ্যমে এডি (প্রাপ্তিস্বীকার) সহ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ভাইরাল সেই স্ক্যান্ডালের বিষয়ে ভুল স্বীকার করে জনসম্মুখে ক্ষমাপ্রার্থনা করে ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবেন না মর্মে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন জয়নাল আবেদীন মাযহারী নামের কুমিল্লার এক আইনজীবী। জবাব না দিলে ভাইরাল হওয়া স্ক্যান্ডালের কারণে গণউৎপাত, নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টির অভিযোগে মামলা দায়ের করার ঘোষণা দেন ওই আইনজীবী।
লিগ্যাল নোটিশটি অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা, প্রযত্নে আহসান হাবীব নাসিম, অভিনয়শিল্পী সংঘ কার্যালয় ১০/এ, ব্লক-এ রোড নম্বর ২, নিকেতন, গুলশান-১ ঢাকা, এই ঠিকানায় পাঠানো হয়। ০৫৫/২৩ রেফারেন্স নম্বরীয় লিগ্যাল নোটিশটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রভার উল্লেখিত ঠিকানায় পৌঁছবে।
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মাযহারী কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং কুমিল্লা জজকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত আছেন।
এ প্রসঙ্গে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমাদের অফিসের ঠিকানায় এখনও নোটিশটি আসেনি। শুক্রবার অভিনয়শিল্পী সংঘের অফিস সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে। তাই এখন কিছু বলতে পারছি না বিস্তারিত।’
এদিকে প্রভার সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করতে গেলে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।’
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন