ফুটবল
যে পাঁচ কারণে মরক্কোর বিপক্ষে ব্রাজিলের ব্যর্থতা (ভিডিও)
কাতার বিশ্বকাপে মরুর বুকে ব্রাজিলের পুড়ে যাওয়া হৃদয় আবারও দগ্ধ মরক্কোর বিপক্ষে হেরে। রোববার ভোরে দ্য অ্যাটলাস লায়ন্সদের কাছে ২-১ গোলে পরাজয় বরণ করে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ইবনে বতুতা স্টেডিয়ামে দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ উপভোগ করেন ৬৫ হাজার দর্শক। ম্যাচের ২৯তম মিনিটে সেলেসাওদের অবাক করে এল খানুসির পাস থেকে মরক্কোকে এগিয়ে দেন সুফিয়ান বুফাল। তবে ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে ক্যসিমিরোর গোলে ব্রাজিল সমতায় ফিরলে ভিনিসিয়াসদের মনে আশা জেগেছিল বিশ্বকাপ ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন শুরুর। কিন্তু ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে হামিদ সাবিরির গোলে সেলেসাওদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জয় পায় মরক্কো।
কাতার বিশ্বকাপে স্পেন, বেলজিয়াম,পর্তুগালের মতো বাঘা বাঘা দলকে হটিয়ে সেমিফাইনালে খেলা মরক্কোর কাছে ব্রাজিলের এই হারকে অবশ্য অঘটন বলার কোন সুযোগ নেই। বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতায় উজ্জীবিত ফুটবল উপহার দিয়ে যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে হিকিমি-জিয়েসরা।
তবে ব্রাজিলের এই হারের পিছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ,
যার প্রথমটি হল স্থায়ী কোচ নিয়োগ দিতে না পারা। বিশ্বকাপ শেষে তিতের বিদায়ের পর তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নতুন কোচ আনতে পারেনি ব্রাজিল। ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পাওয়া রামন মেনেজেস মরক্কোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে খুবই অল্প সময় পেয়েছেন। ফলে দলকে ঠিকঠাক গুছাতে যে পারেননি তা ব্রাজিলের পারফরম্যান্সই স্পষ্ট।
দ্বিতীয় কারণ হিসেবে বলা যায় নেইমারের অনুপস্থিতিতে নম্বর ১০ পজিশনে খেলা রদ্রিগো সেভাবে ফেলতে পারেননি প্রভাব। আক্রমণভাগে চোটের কারণে দলের বাইরে থাকা নেইমারের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতোই।
তৃতীয় কারণ অভিজ্ঞ থিয়াগো সিলভা না থাকায় ছন্নছাড়া ছিল রক্ষণভাগ। এডার মিলিটাও, ইবনেজ কিংবা এমারসন রয়েলের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক।
চতুর্থ কারণ মরক্কোর বিপক্ষে এ ম্যাচে পাঁচ তরুণ ফুটবলারের অভিষেক করিয়েছিলেন মেনেজেস। কিন্তু এই তরুণেরা ছিলেন ব্যর্থ। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবও ছিল লক্ষণীয়। এ ম্যাচে চোখ ছিল পালমেইরাসের তরুণ ফরোয়ার্ড রনির ওপর। কিন্তু মাঝেমধ্যে কিছু ঝলক দেখা গেলেও সেভাবে মন ভরাতে পারেননি তিনি। বরং মিস করেছেন সহজ গোলের সুযোগ। ১৮ বছর বয়সী মিডফিল্ডার আন্দ্রে সান্তোসও ব্যর্থ হয়েছেন প্রত্যাশা পূরণে।
পঞ্চম কারণ বলা যায় মরক্কোর আত্মবিশ্বাস। বিশ্বকাপে চমক দেখানো মরক্কোর সেই আত্মবিশ্বাসী ফুটবল বাড়তি চাপে ফেলেছে ব্রাজিলকে। আক্রমণে যাওয়া কিংবা রক্ষণ সামলানো—দুই জায়গাতেই দাপুটে ফুটবল খেলেছে মরক্কো। যার ফলাফল হিসেবে মরক্কোর বিপক্ষে জয় তুলতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিলিয়ানরা।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন