শিক্ষা
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারেন না অধিকাংশ শিক্ষার্থী
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার (এইচএসসি) গণ্ডি পার হওয়ার পর একটা বড়সংখ্যক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হওয়ার। সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতিও শুরু করে দেন আগে থেকে। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ ৫ পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় তাদের অধিকাংশই পাস নম্বর তুলতে পারছেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ছয় বছরে কোনোবারই ২০ শতাংশ কিংবা তার বেশি শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। অর্থাৎ প্রতিবছরই ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ফেল করে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায়।
২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ‘ক’ ইউনিটে পাসের হার ছিল ১৩ শতাংশ। ‘খ’ এবং ‘গ’ ইউনিটে পাসের হার যথাক্রমে ১১ ও ৫ শতাংশ। এ ছাড়া ‘ঘ‘ ইউনিটে পাসের হার ছিল ৯ শতাংশ। আর চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটে পাসের হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ।
২০১৭ – ১৮ শিক্ষাবর্ষে ‘খ’ ইউনিটে অকৃতকার্যের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ পাসের হার ছিল ১৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ‘ক’ ইউনিটে পাসের হার ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ ছাড়া ‘গ’ এবং ‘ঘ’ ইউনিটে পাসের হার যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৭৫ ও ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটে এই পাসের হার ছিল মাত্র ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
২০১৮ -১৯ শিক্ষাবর্ষে ক, খ, গ, এবং চ মোট চার ইউনিটে পাসের হার ছিল যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৪, ১৪ , ১০ দশমিক ৯৮ এবং ১৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
ওপরের তিন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সম্পূর্ণ এমসিকিউ (বহুনির্বাচনি) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। মোট ২০০ মার্কের মধ্যে ১২০ মার্কের ওপর এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়া হয়। আর বাকি ৮০ মার্ক এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়।
তবে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতির পাশাপাশি লিখিত আকারে পরীক্ষা নেয়া শুরু করে। ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ২০০ নম্বরের ওপর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যার ৮০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ধারণ এবং বাকি ১২০ মার্কের এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে সব ইউনিট মিলে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করেছিল মোট ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯১ জন শিক্ষার্থী এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল দুই লাখ ৬৪ হাজার ১৫৯ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হন মাত্র ৩৭ হাজার ২৫৮জন। সম্মিলিতভাবে এ পাসের হার মাত্র ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। বাকি ৮৫ দশমিক ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী ওই বছর ফেল করেছে। ওই বছরে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৪১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ জিপিএ ৫ প্রাপ্ত অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) ও এসএসসি (সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে অটোপাস দেয়া হয়। যে কারণে দীর্ঘসময় পিছিয়ে ২০২০-২১ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কোভিট-১৯ এবং অটোপাসের কথা বিবেচনায় নিয়ে এ বছর কমিয়ে আনা হয় পরীক্ষার মোট নম্বর। মোট ১২০ নম্বরের ওপর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় যার মধ্যে ১০০ মার্কের এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষা এবং ২০ মার্ক এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বণ্টিত করা হয়। তবে এতেও বাড়েনি পাসের হার। বরং অনেক ইউনিটে কমে এসেছে তুলনামূলক পাসের হার।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মোট পাঁচটি ইউনিটে সম্মিলিতভাবে পাশের হার ছিল ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। অর্থাৎ ৮৭ দশমিক ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়। ক, গ, ঘ ও চ ইউনিটে পাসের হার ছিল যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৫, ১৬ দশমিক ৮৯, ২১ দশমিক ৭৫, ৯ দশমিক ৮৭ এবং ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৪ ভাগের এক ভাগ শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি।
সর্বশেষ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ক, খ, গ, ঘ এবং চ মোট ৫ ইউনিটে অংশগ্রহণ করে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৬০৫ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে সম্মিলিতভাবে পাস করে ২৭ হাজার ৪৮৮ জন পরীক্ষার্থী। যা শতকরায় ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অপরদিকে এ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। অর্থাৎ জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর ৬ ভাগের এক ভাগ শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল হালিমের বলেন, বিশ্বিবদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। চাকরি নিয়োগ বা কোনো কিছুতে রিক্রুটমেন্টের মতোই এটি একটি পরীক্ষা। যেখানে পরীক্ষার্থীকে বাতিল করার প্রশ্ন থাকে। এখানে পাস আসল ফ্যাক্ট না।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় যারা প্রতিযোগিতামূলক ভালো পরীক্ষা দেয়, তারা চান্স পায়। এর মানে এই নয় যে যারা চান্স পায় না তারা খারাপ ছাত্র। যে কোনোভাবেই প্রিপারেশনের ঘাতটি হতে পারে, পরীক্ষা সাডেনলি খারাপ হতে পারে। একজন শিক্ষার্থী একাডেমিক রেজাল্ট ভালো করলেও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো নাও করতে পারে। আবার অনেক শিক্ষার্থী একাডেমিক খারাপ করার পরও ভালো প্রস্তুতি নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করতে পারে। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় যারা একাডেমিক ফলাফলে ভালো রেজাল্ট বা জিপিএ ৫ না থাকা সত্ত্বেও চান্স পায় তাদের ব্যতিক্রম বলতে হবে। তার কারণ যারা ভালো রেজাল্ট করে আসে তারা ভর্তি পরীক্ষায় একটা নির্দিষ্ট মার্ক পাওয়ার সুবিধা ভোগ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. কামরুল হাসান বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে অধিক মনোনিবেশ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমার কাছে ১০ গ্লাস শরবত বানানোর জন্য যথেষ্ট চিনি রয়েছে। কিন্তু আমি যদি ১০ গ্লাসের অতিরিক্ত শরবত বানাতে চাই তাহলে শরবত আর শরবত থাকবে না; শরবতে পানির স্বাদ দেখা দিবে। ঠিক তেমনই হয়েছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়। শিক্ষার মান অবমূল্যায়ন হতে হতে এরকম হয়েছে। কাজেই এখন আর রেজাল্ট দিয়ে বলা যাবে না যে, জিপিএ ৫ পেলেই একজন শিক্ষার্থী মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করছে।
এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য কামরুল হাসান বলেন, শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। কারিকুলাম ভালো করতে হবে। ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে রাজনীতি কমাতে হবে। শিক্ষাকে করতে হবে সার্বজনীন এবং মানসম্মত। কোনোভাবেই শিক্ষার মান কমানো যাবে না।
শিক্ষা
চুয়েটে নিষিদ্ধ হলো ছাত্ররাজনীতি
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি।
বুধবার (০৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৩৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৩৬/১(ঘ) অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হলো। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় বিধান অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সে দাবি আরও জোরালো হয়। এমন প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চুয়েট।
এসি//
শিক্ষা
আজ থেকে শুরু একাদশ শ্রেণির ক্লাস
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) হওয়ার কথা ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিস্থিতিতে পিছিয়ে তা শুরু হচ্ছে আজ।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোকে বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) থেকে একাদশের ক্লাস শুরু করতে বলেছে। এরইমধ্যে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে পাঠানো চিঠিতে কমিটি বলছে, বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে।
এদিকে প্রথম থেকে তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় বুধবার (০৭ আগস্ট) শেষ হয়েছে। তবে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চতুর্থ ধাপের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। তিন ধাপে আবেদন গ্রহণ ও শিক্ষার্থী নির্বাচনের পরও কিছু কলেজ মাদ্রাসায় সিট খালি থাকায় ও কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির আবেদন করেননি বা আবেদন করে কলেজ সিলেকশন পাননি তারা এবং যেসব শিক্ষার্থী চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েও কলেজে ভর্তি হতে পারেননি বা নিশ্চায়ন করতে পারেননি তারা চতুর্থ ধাপে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://www.xiclassadmission.gov.bd) প্রবেশ করে নির্দেশিকা অনুসারে শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কলেজের আসন সংখ্যা দেখে ৫টি থেকে ১০টি কলেজে আবেদনের চয়েজ দিতে পারবেন। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। ব্যাংক কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে।
জানা গেছে, ১১ থেকে ১৪ আগস্ট (বুধবার) রাত ১০টা পর্যন্ত চতুর্থ বা সর্বশেষ ধাপের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ১৭ আগস্ট (শনিবার) রাত ৮টায় চতুর্থ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। ১৮ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট (সোমবার) রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে। চতুর্থ ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।
এসি//
শিক্ষা
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাগুলো। বুধবার (৭ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে সই করেছেন সরকারি মাধ্যমিক শাখা-২ এর উপসচিব সাইয়েদ এ. জেড মোরশেদ আলী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১১ আগস্ট ২০২৪ তারিখ থেকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪-এর পরীক্ষাসমূহ অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করে পরীক্ষা গ্রহণের বিস্তারিত সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে মর্মে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দফায় দফায় চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তিন দফায় আট দিনের পরীক্ষা স্থগিত করেছে বোর্ডগুলো। পরে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেয়ার কথা জানানো হয়।
চলমান পরিস্থিতিতে প্রথমে গেলো ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তৃতীয় দফায় ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সূচি অনুযায়ী যত পরীক্ষা ছিল, তা সব স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
গেলো ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
এসি//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন