ফুটবল
পেলে-ম্যারাডোনার পাশে মেসির ভাস্কর্য
লিওনেল মেসির হাত ধরে ৩৬ বছর পর শিরোপা খরা কাটিয়েছে আর্জেন্টিনা। কাতারে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সবকিছুরই অর্জন করে ফেলেছেন এই ফুটবল জাদুকর। মেসিকে সম্মান জানাতে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) তৈরি করেছে মেসির ভাস্কর্য। এটি থাকবে কনমেবলের জাদুঘরে। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের এই ভাস্কর্য রাখা হবে পেলে ও ডিয়েগো ম্যারাডোনার ভাস্কর্যের পাশে। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে পোস্ট করা হয়েছে এই ভাস্কর্য উন্মোচনের ছবি।
সোমবার (২৭ মার্চ) প্যারাগুলের লুকে শহরে কনমেবলের সদর দফতরে উন্মোচিত হয়েছে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে মেসির ভাস্কর্য। কোপা লিবার্তাদোরেসের ড্র অনুষ্ঠানের আগে এ দিন ছিল এই আয়োজন। কনমেবলের সদর দফতরে জাদুঘরে আরও দুই কিংবদন্তি পেলে ও দিয়েগো ম্যারাডোনার পাশেই থাকবে মেসির ওই ভাস্কর্য।
এদিন, বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলকে সম্মান জানায় কনমেবলের সদর দপ্তর। এতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিশ্বকাপ হাতে মেসির ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়। মেসি নিজেই তার ভাস্কর্য উন্মোচন করেছেন। কনমেবলের সদর দপ্তরে দুই কিংবদন্তি পেলে ও ম্যারাডোনার পাশে ঠাঁই হচ্ছে মেসির এই ভাস্কর্য। যেটিতে হাস্যোজ্জ্বল মেসির হাতে শোভা পাচ্ছে বিশ্বকাপ ট্রফি।
ভাস্কর্য উন্মোচনের আয়োজনে থেকে আপ্লুত মেসি ফিরে তাকালেন তার গোটা ক্যারিয়ারে।
৩৫ বছর বয়সী মহাতারকা বললেন, জীবন তাকে ভরিয়ে দিয়েছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রাপ্তিতে।
মেসি বলেন, আমি কখনোই এমন কিছুর স্বপ্ন দেখিনি বা ভাবতে পারিনি। আমার স্বপ্ন ছিল পছন্দের কাজটি (ফুটবল খেলা) স্রেফ উপভোগ করা এবং যখন ছোট ছিলাম, চাওয়া ছিল পেশাদার ফুটবলার হওয়া। জীবনে যেটিকে ভালোবেসেছি, সেটিকেই পেশা হিসেবে নেয়া।
মেসি আরও বলেন, অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে। সেই পথে অনেক বাঁক এসেছে, পরাজয় এসেছে। তবে আমি সবসময় সামনে তাকিয়েছি, সাফল্য অর্জন করতে চেয়েছি, বিজয় চেয়েছি। আমার মনে হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এটিই, স্বপ্নকে তাড়া করা; সবকিছুকে সম্ভব করতে লড়াই করা এবং খেলা উপভোগ করা, যেটি সবচেয়ে সুন্দর।
বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম ম্যাচেই বাঁ পায়ে বাঁকানো ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৮০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন ৩৫ বছর বয়সী লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটি ছিল তার ৯৯তম গোল।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টায় ঘরের মাঠে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ রাষ্ট্র কুরাকাও-এর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে গোল পেলে জাতীয় দলের হয়ে গোলের সেঞ্চুরিটা পূর্ণ হয়ে যাবে এই ফুটবল জাদুকরের।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন