Connect with us

অন্যান্য

নোয়াখালীর বোতামের চাহিদা এখন বিশ্বজুড়ে

Published

on

নোয়াখালীর একমাত্র বোতাম তৈরির কারখানা ‘বাটনস্ অ্যান্ড ট্রিমস্ লিমিটেড’। কারখানাটির বোতাম এখন শুধু দেশের নয় বরং বাইরের দেশের চাহিদাও পূরণ করছে। কারখানায় বোতাম উৎপাদনের পর তা নিজেদের ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে পাঠানো হয়য় ইউরোপ, কানাডা, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই কারখানায় তৈরি বোতাম শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক পোশাক কোম্পানিগুলোর জন্য তৈরি হয়।

নোয়াখালীতে বোতাম কারখানার যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে। জেলার সোনাপুর বিসিক শিল্প নগরীর ২৩, ২৪ ও ২৫নং প্লট নিয়ে কারখানাটি গড়ে ওঠে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিমাসে গড়ে ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা এবং বছরে আড়াই কোটি টাকার বোতম তৈরি হতো এখানে। 

কিন্তু করোনাকালে গত ২ বছরে প্রতিষ্ঠানটি পড়েছে ব্যাপক লোকসানে। করোনার প্রভাব কিছুটা কেটে গেলেও অর্ডার কমে যাওয়া ও জনবল সংকটে এখনও আগের রূপে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটির  দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, ২০১২ সালে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সোনাপুর বিসিকে প্রতিষ্ঠা করা হয় জেলার একমাত্র বোতাম কারখানাটি। বর্তমানে কারখানার ২টি ইউনিটে নারী ও পুরুষ কর্মীসহ কর্মরত আছেন প্রায় ৮০ জন শ্রমিক। বোতাম তৈরির জন্য রয়েছে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের ৭০টি মেশিন। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা চলে কারখানায় বোতাম তৈরির কাজ।

Advertisement

প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ৫ হাজার জিজি বোতাম তৈরির অর্ডার পাওয়া যেত, যা পরবর্তীতে তৈরির পর নিজেদের ঢাকা অফিস হয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমের মাধ্যমে দেশের বাইরে ডেলিভারি করা হতো। বোতামের আকার ভেধে যার বাজার মূল্য ছিল অন্তত ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা। প্রতি জিজি’তে ১৭২৮টি বোতাম থাকে। কিন্তু করোনার শুরু থেকে বন্ধ হতে থাকে দেশের বাইরের অর্ডার, মাঝে মাঝে অর্ডার পেলেও তার সংখ্যা ছিল অনেক কম। করোনাকালে প্রতি মাসে ৯০০ থেকে ১০০০ জিজি অর্থাৎ সাড়ে ৩ লাখ টাকার বোতাম তৈরি হতো। 

এতে করে কারাখানা চালু রেখে, শ্রমিকের বেতন ও বিদ্যুৎ খরচে গুনতে হয়েছে লোকসান। গত ১-২ মাস থেকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও আগেরমত অর্ডার এখনও বাড়েনি। গত সেপ্টেম্বর মাসে অর্ডার হয়েছে মাত্র ২০০০ জিজি, যা উৎপাদনের পর ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে অর্ডার কমে যাওয়া ও ঢাকাকেন্দ্রিক কারখানাগুলোতে বেশি অর্ডার হওয়ায় এমনটা হয়েছে।

কারখানার শ্রমিকরা জানান, দেশের বাইরে থেকে কাঁচামাল ও ক্যামিকাল সংগ্রহ করার পর ট্যাকনেশিয়ানসহ ৪ ধাপে বোতাম তৈরির কাজ করা হ। প্রথমে কাটিং সেকশনে সিট তৈরি করতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা, পরের ৪ ঘণ্টা কাজ করে টার্নিংয়ে, ফলেসিংয়ে প্রয়োজন হয় ১২ ঘণ্টা এবং সবশেষ ২ ঘণ্টা ফিনিসিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয় বোতাম।

বর্তমানে যে পরিমাণ অর্ডার ও কাজ হচ্ছে তাতে প্রতিষ্ঠান লোকসানে রয়েছে। অর্ডার বেশি হলে যতক্ষণ মেশিন চালানোর দরকার হতো কম হলেও ততক্ষণ চালাতে হচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ, জেনারেটর ও শ্রমিকের বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিমাসে বিদ্যুৎ ও জেনারেটর বিল দিতে হয় প্রায় তিন লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন কারখানার হিসাবরক্ষণ বিভাগ।

বাটনস্ অ্যান্ড ট্রিমস্ লিমিটেডের হিসাব ব্যবস্থাপক চৌধুরী রহমত উল্যাহ জানান, সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে চট্টগ্রাম কাস্টমের মাধ্যমে বোতামগুলো সরাসরি দেশের বাইরে রপ্তানি করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২ বছরে অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অন্য কারখানায় বেশি বেতন পাওয়ার আসায় শ্রমিকরা চলে যাচ্ছে। 

Advertisement

তিনি আরও জানান, অর্ডার কমে যাওয়া ও অন্যদিকে জনবল সংকট থাকায় কারখানা বিপাকে পড়ছে। এছাড়াও বিসিক শিল্প নগরীতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সমস্যা রয়েছে। কারখানায় যে পানি সরবরাহ করা হয়ে তাতে লবণাক্ততার পরিমাণ এত বেশি যে, ইতোমধ্যে কয়েক লাখ টাকার মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, আনসার বা পুলিশ দিয়ে বিসিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পৌরসভা থেকে আসা পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে কারখানাটি আগের উৎপাদনে ফিরে যেতে পারবে প্রত্যাশা করেন হিসাব ব্যবস্থাপক চৌধুরী রহমত উল্যাহ।

এসএস/৩নভেম্বর 

Advertisement

অন্যান্য

শিক্ষকদের আন্দোলনের কোনো যুক্তি নেই: অর্থমন্ত্রী

Published

on

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক। শিক্ষকদের আন্দোলনের কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। বললেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াংমিং ইয়ংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেনম প্রত্যাশার চেয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বেশি সহায়তা করছে।

এদিকে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন একাডেমিক কাজ করতে আসা শিক্ষার্থীরা।

আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগেই খোলা হয়নি তালা। বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম। একই অবস্থা প্রশাসনিক ভবনেও। কিছু কিছু কক্ষের দরজা খোলা হলেও বন্ধ রয়েছে কার্যক্রম। ফলে জরুরি কাজে মার্কশিট, সার্টিফিকেট ইত্যাদি তুলতে আসা শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

Advertisement

গেলো ২৫ থেকে ২৭ জুন তিনদিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শাবি শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়ায় গেলো ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন এবং ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। একই দাবি আদায়ে তিনদিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা

Published

on

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ৩ টাকা কমেছে। ১২ কেজির দাম ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এই দাম মে মাসের তুলনায় জুনে ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩ টায় এক মাসের জন্য এলপিজির এই নতুন দাম ঘোষণা করা হয়।

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে এতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত চলতি মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী চলতি (জুলাই) মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির দাম সমন্বয় সম্পর্কে বিইআরসির নির্দেশনা ঘোষণা করা হবে।

বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন জানান, ১২ কেজির এলপিজির দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে টানা ৮ মাস বাড়ার পর গেলো এপ্রিল মাসে কমেছিলো এলপি গ্যাসের দাম। সেই ধারাবাহিকতায় গেলো মে ও জুন মাসেও কমে এলপিজির দাম।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

এলপিজির দাম কমছে নাকি বাড়ছে, জানা যাবে আজ

Published

on

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম জুলাই মাসে বাড়ছে নাকি কমছে, তা জানা যাবে আজ। মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।

সোমবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এ দিন বিকেল ৩টায় সৌদি আরামকো ঘোষিত চলতি মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী চলতি (জুলাই) মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির দাম সমন্বয় সম্পর্কে বিইআরসির নির্দেশনা ঘোষণা করা হবে।

এর আগে কয়েক দফায় বাড়ানো হয় এলিজির দাম। পরে গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারে মূল্য ৪০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪৪২ টাকা। এরপর ২ মে আরও ৪৯ টাকা কমিয়ে কমিয়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ধরা হয় ১ হাজার ৩৯৩ টাকা। সবশেষ গত ৩ জুন ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it