আইন-বিচার
পুলিশের ধাওয়ায় টিনের চালে ‘চোর’, উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের এক সদস্য উঠে যায় এক বাড়ির টিনের চালে। সেখানে উঠে দেন আত্মহত্যার হুমকি। স্থানীয় লোকজন বিভিন্নভাবে বুঝিয়েও তাকে নামাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ডাকা হয় ফায়ার সার্ভিস। এক পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের যৌথ চেষ্টায় তাকে নামিয়ে আনা হয়েছে।
গেলো সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পৌর-সদরের চালিয়াগোপ গ্রামে। এরইমধ্যে এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
টিনের চালে ওঠা ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম রিটন মিয়া। তিনি পৌর এলাকার চালিয়াগোপ গ্রামের বাসিন্দা মুর্শিদ উদ্দিনের ছেলে। তার নামে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা, কটিয়াদী মডেল থানা ও পাকুন্দিয়া থানায় আট থেকে নয়টি মোটরসাইকেল চুরির মামলা রয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, সোমবার কিশোরগঞ্জ মডেল থানার একটি মামলায় রিটনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। সে মামলায় তাকে ধরতে সদর থানার পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় সদর থানা পুলিশকে সহায়তা করতে পাকুন্দিয়ায় থানা পুলিশও সেখানে উপস্থিত হয়। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সে বসতঘরের টিনের চালে উঠে বসে এবং এক টুকরা টিন নিজের গলায় ধরে আত্মহত্যার হুমকি দেন। উপস্থিত স্থানীয় ব্যক্তিরা বিভিন্নভাবে তাকে বুঝিয়েও নামাতে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে ডাকা হয় ফায়ার সার্ভিস।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, রিটনকে এর আগেও যতবার পুলিশ গ্রেপ্তার করতে গিয়েছে ততোবারই সে বিভিন্ন ধরনের অভিনয় করেছে।
পাকুন্দিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মুজিবুর রহমান বলেন, পুলিশ খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে গিয়ে অভিযান চালিয়ে রিটনকে টিনের চাল থেকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
ভিডিওটির বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, এই চোরের প্রত্যেকটি কাহিনীই ব্যাপক বিনোদনের। তার নামে কিশোরগঞ্জ মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন