আইন-বিচার
হজ প্যাকেজ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না: হাইকোর্ট
সরকার ঘোষিত হজ প্যাকেজ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহ পর এ বিষয়ে শুনানি হবে।
রোববার (২ এপ্রিল) এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
গেলো ১২ মার্চ হজের প্যাকেজ মূল্য কমিয়ে পুনরায় প্যাকেজ ঘোষণা করতে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামান।
দূরত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন দেশের চেয়ে বাংলাদেশে হজযাত্রীদের বিমানভাড়া কয়েকগুণ। সময় সংবাদের প্রচারিত এমন রিপোর্ট সত্যায়িত আকারে আদালতে দাখিল করা হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং সৌদি আরবে মধ্যস্থতাকারীদের সক্ষমতার অভাবেই দেশে হজের প্যাকেজ মূল্য বাড়ছে বলে মনে করেন রিটকারীরা।
এ বিষয়ে হাইকোর্ট বলেন, সব দেশে হজের প্যাকেজ অনেক কম থাকলেও এদেশে সেভাবে মনিটরিং না করায় হজের প্যাকেজমূল্য এত বেশি।
চলতি বছর সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ ধরা হয়েছিল ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। আর বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছিল ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
সৌদি আরবে মিনার তাঁবুর খরচ কমায় সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের জন্য ঘোষিত প্যাকেজের মূল্য কমানো হয়।
গেলো ২২ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনার হজ প্যাকেজ মূল্য ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানো হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ মূল্য হবে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনাতেও একই পরিমাণ অর্থ কমানোর জন্য হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (হাব) অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ মূল্য হবে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা।
এদিকে চলতি বছর হজে যেতে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত হজের নিবন্ধন করা যাবে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন শুরু হয়েছে।
কোটা পূরণ না হওয়ায় এ বছর সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে হজ নিবন্ধনের সময়সীমা আগেও কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছিল। সবশেষ ৩০ মার্চ পর্যন্ত হজের নিবন্ধন করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে)। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং অবশিষ্ট ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন