দক্ষিণ আমেরিকা
সৌদি বাদশাহর সঙ্গে বাইডেনের ফোনালাপ; মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ
সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান বাইডেন। ফোনালাপে তিনি সার্বজনীন মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের আগে টেলিফোনে সরাসরি কথা বলেন দুই দেশের নেতা। যদিও সালমান-বাইডেনের ফোনালাপ নিয়ে খাসোগির নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে।
বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সৌদি আরবের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন। তবে সেজন্য রিয়াদকে মানবাধিকার এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে বারবার তাগিদ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এসময় সম্প্রতি কয়েকজন সৌদি-মার্কিন অধিকারকর্মীর মুক্তির জন্য রিয়াদের প্রশংসা করেন বাইডেন। হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি নারী কর্মী লুজাইন আল-হাথললকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ায় সৌদি সরকারের প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্র সর্বজনীন মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে সে বিষয়েও জানিয়েছেন।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মধ্যকার দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব এবং ইরানপন্থী গ্রুপগুলো সৌদি আরবের জন্য কতটা হুমকিস্বরূপ তা নিয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। ইরানের কারণে সৃষ্ট আঞ্চলিক ঝুঁকি নিয়ে কথা বলেন সৌদি বাদশাহ। সালমান আশ্বাস দেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে সর্বোচ্চ তৎপরতার। যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে আরও স্বচ্ছ করতে কাজ করার কথাও জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং বাদশাহ সালমান।
বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে সৌদি রাজপরিবারের বেশ সুসম্পর্ক ছিল। তবে বাইডেনের সময় ঠিক তেমনটা থাকছে না। ক্ষমতায় বসেই রিয়াদের সঙ্গে অস্ত্রবাণিজ্য স্থগিত, ইয়েমেন ইস্যুতে জোটকে সহযোগিতা বন্ধসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় বাইডেন প্রশাসন। তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়, সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সৌদি আরবের প্রতি কঠোর হবে হোয়াইট হাউজ।
খাসোগি হত্যাকান্ডের প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের দপ্তর। এটি দুই-একদিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হতে পারে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হতে পারে। খাসোগি হত্যার প্রতিবেদন পড়ার পর সৌদি বাদশাহ’র সঙ্গে বাইডেনের ফোনালাপ হলো।
এসএন
দক্ষিণ আমেরিকা
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ মাদুরো জয়ী
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নেতা নিকোলাস মাদুরো।
দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) প্রধান ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র এলভিস আমরোসো জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে- মাদুরো ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।
এদিকে, ভোট গণনায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ।
নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে মাদুরো ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ভোট হয়। দেশটিতে গেলো ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মাদুরো। গতকালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে মাদুরোর দল। তার মধ্যে টানা ১১ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাদুরো। বলা হচ্ছিল এবারের নির্বাচনে তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ এবার ব্যাপক সমর্থন টানতে পেরেছিলেন।
ভোট গণনা উপলক্ষে বিরোধী জোট কেন্দ্রগুলোতে হাজারো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। জোটের এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয়া হয়েছে।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল বিরোধীরা। এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে আসছিল তারা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই : বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরই এই হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তার হাতে একটি রাইফেল ছিল।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ (হামলা)।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি নিরাপদে ও ভালো আছেন।’
জো বাইডেন বলেন, ‘আমি তার (ট্রাম্প) জন্য এবং তার পরিবারের জন্য ও সমাবেশে যারা ছিলেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।
বাইডেন বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে।’
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
নির্বাচনী জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে ‘একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশে বিদ্ধ হয়েছে।’
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।
এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’
হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
র্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়।
জেএইচ