আইন-বিচার
সিনহার রায়ে প্রমাণিত হয়েছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের দেওয়া রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘অন্যায় করলে তার বিচার হবেই, সে যেই হোক। এ রায়ের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এটা খুব প্রয়োজন ছিল। বাট আই অ্যাম নট হ্যাপি। কারণ তিনি বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। উনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন, আমি একজন আইজীবী। আমি বিচার বিভাগের সঙ্গে সারাজীবন সম্পৃক্ত, আমার জন্য এটা সুখকর হতে পারে না।’
বিরোধীরা বলছেন সরকারের কথার বাইরে না গেলে সিনহাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হতো না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘কথাটা একেবারেই সত্য নয়। যারা এমন কথা বলছেন, তারা সরকারের শুধু সমালোচনা করার জন্য এগুলো বলে বেড়াচ্ছেন। এ ধরনের কথাবার্তার কোনো সারমর্ম নেই।’
আনিসুল হক আরও বলেন, ‘যে কোনো সাংবিধানিক পদ বা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে থাকলে তার কর্মকাণ্ডের হিসাব দিতেই হবে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়, এটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। ট্রান্সপারেন্সি ও অ্যাকাউন্টিবিলিটি সব সময় মেইনটেইন করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে। অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে, আদালত বিচার করেছেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আমরা দেখেছি, এ দেশে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হলেও কোনো মামলা হয়নি। এ সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য দুর্নীতির মামলার বিচার হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’
আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন অপরাধ কোনো বিচারপতি করেননি। সেজন্য এমন বিচার করার প্রয়োজন হয়নি। অন্যায় হলে নিশ্চয়ই বিচার হতো। পৃথিবীতে এমন বিচারের অনেক নজির আছে। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে দেখুন, সেখানে প্রধান বিচারপতিকে বিলোটিং করা হয়েছে। সেটা এখানে বড় কথা নয় এবং সেটাকে উদাহরণ হিসেবেও আনা উচিত নয়।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে মানি লন্ডারিংয়ে সাত এবং অর্থ আত্মসাৎ মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে ১৮২ পাতার রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। এছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ