ফুটবল
মেসির সঙ্গে সাক্ষাতের আশায় ১০ ঘণ্টা বসে ছিলেন ভক্ত
বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন সুপার স্টারের সাক্ষাৎ পেতে বাসার সামনে ১০ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন হুয়ান পোলকান। অপেক্ষার পর শেষে মেসি তাঁকে অবশ্য হতাশ করেননি। ফুটবলের খুদে জাদুকরের সাক্ষাৎ পেয়েছেন এই ভক্ত।
তবে শুধু সাক্ষাতেই পরিশ্রান্ত থাকেননি পোলকান। আর্জেন্টাইন মহাতারকার বাসায়ও ঢুকেছেন এই ভক্ত। এমনকি মেসির দেওয়া অটোগ্রাফ ট্যাটুও করিয়েছেন শরীরে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ইনফোবে’ নিশ্চিত করেছে তথ্যটি। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোলকান নিজেও বিষয়টি জানিয়েছেন। এমনকি মেসির অটোগ্রাফ দেওয়ার ভিডিও ও ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। টিকটকে ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্যারিসে গিয়ে মেসির বাড়ির দরজার সামনে ১০ ঘণ্টা বসেছিলেন আর্জেন্টাইন এই ফুটসাল খেলোয়াড়। তার ধারণা ছিল, অলৌকিক কোনোভাবে মেসির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে এমনভাবে মেসির সাক্ষাৎ পাবেন তিনি, এমনটা কল্পনাও করেননি তিনি।
পোলকানের ভাষ্য, একপর্যায়ে মনে হয়েছিল কোনো সুযোগ নেই। কারণ, তিনি (মেসি) পাত্তা দিচ্ছিলেন না। নিরাপত্তাপ্রহরী এসে বলেছে তিনি পুলিশে জানাবেন। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। কারণ, মেসির সঙ্গে দেখা করতে প্যারিসে দুইদিন থাকার পরিকল্পনা ছিল।
এই ফুটসাল খেলোয়াড়ের দাবি, হঠাৎ আন্তোনেলা (মেসির স্ত্রী) এসে দরজা দেখিয়ে আমাকে আসতে বললো। দৃশ্যটা কখনও ভুলব না। সে আমার জন্য বাসার দরজা খুলেছে! অন্য কোথাও দেখা করতে পারতো, কিন্তু তা না করে নিজের বাসায় ডেকেছে।
¡ESTO GENERA EL MEJOR DEL MUNDO! Este fanático viajó a París, estuvo 10 horas esperando en la puerta de la casa de Messi, logró entrar y cumplió el sueño de su vida.
📹: IG/ juanpolcan pic.twitter.com/SqzJz1hB1z
— SportsCenter (@SC_ESPN) April 10, 2023
পোলকান বললেন, বাসায় ঢোকার পর প্রথমে চোখে পড়েছে যে দৃশ্যটি-মেসি শর্টস ও স্যান্ডাল পরে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে হ্যালোও বলেছে। অবিশ্বাস্য মুহূর্ত। তাকে বলেছি, কতটা ভালোবাসি। একসঙ্গে ছবি তুলেছি। আমার ফুটসাল ক্লাবের জার্সিতে তিনি অটোগ্রাফও দিয়েছেন। আমাকে বুকে টেনে নিয়েছেন এবং হাতের বাহুতে অটোগ্রাফও দিয়েছেন। তখন আমার হাত কাঁপছিল, এমন আগে কখনও অনুভব হয়নি। অটোগ্রাফটি হাতে ঠিকমতো দিতে মেসিই আমাকে শান্ত করেন।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন