আওয়ামী লীগ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একজন সহযোগী দিতে বললেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী (ভিডিও)
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সজ্জন ব্যক্তি, সফল মানুষ। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাকে সহযোগিতা করার জন্য সেখানে আরেকজনকে দায়িত্ব দিতে পরামর্শ দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সহযোগিতা করার জন্য সেখানে আরেকজনকে দায়িত্ব দেয়ার কথা বলে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
আপনাকে দায়িত্ব দিলে পালন করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার মা। তিনি আমাকে যে দায়িত্ব দেবেন সেটাই পালন করবো। তিনি যদি বলেন, আগুনে ঝাপ দে মুরাদ। আমি তাই করবো। ইউপি নির্বাচনে হানাহানি, মারামারি, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অত্যন্ত বেদনাদায়ক। খারাপ লাগে, কষ্ট লাগে। ব্যর্থ হচ্ছি না, আমাদের মানসিকতার সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী দেশে নেই, আমাদের আরও সহনশীল হওয়া উচিত। এমন মারামারি, হানাহানি আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি নয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে নেই, নির্বাচন হচ্ছে। আমাদের কি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত নয়? আমার দলের নেতাকর্মীদের এই কমনসেন্সটা কবে গ্রো করবে? একটা মেম্বার না হলে কি হবে? না খেয়ে মারা যাবে? মেম্বার হলেই বা কি হবে? বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর কন্যার মতো তার চেয়ে বেশি কাজ করে ফেলবেন? আমি হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা কইরেন না। বিশেষ করে আমাদের দলের কালচার এটা নয়।
ইউপি নির্বাচনে হতাহতের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি দেখছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মুরাদ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অত্যন্ত নিপাট ভদ্রলোক। বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক মানুষ। উনি অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী মানুষ এবং প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও পছন্দের। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শুনেছি একাধিকবার, আমার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনেক ভালো, কথা কম বলেন, যখন কথা বলেন অনেক হিসাব করে কথা বলেন। অতএব তাকে নিয়ে সমালোচনা করার কোনো মানসিকতা ও অধিকার রাখি না।
তিনি বলেন, আমি এটাই বলতে চাই, ওখানে এত বড় মন্ত্রণালয়, আমাদের দেশটা তো একেবারে ছোট নয়। মানুষের সংখ্যাও তো অনেক, ১৭ কোটি। ওখানে বোধহয় আরও কাউকে দিলে ভালো হতেও পারে, এটুকু বলতে পারি। উনাকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন। শুধু ইউপি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নয়, উনি দায়িত্বে সফল বলেই তো দ্বিতীয় মেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এ রকম নেই। কিন্তু উনার এখন যে বয়স, দায়িত্বের পরিধি, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, এত বড় মন্ত্রণালয়, দেশের এত জনসংখ্যা, সেখানে তাকে সাহায্য করার জন্য, সহযোগিতা করার জন্য, সাপোর্ট দেওয়ার জন্য, পরামর্শ করার জন্য, যেহেতু সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আমার মনে হয়ে প্রধানমন্ত্রী এটা যদি বিবেচনা করেন, ভালো হবে বলে আমার মনে হয়।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/